-------
বাংলাদেশ রেল সেবা দিন দিন আধুনিক হলেও দালালরা তাদের কৌশল পরিবর্তন করে প্রতারণা করে যাচ্ছে দিনের পর দিন। দালাল চক্রের প্রধান পুঁজি রেলে ডিউটিরত পুলিশ সদস্যরা।
দালারা তাদের মাধ্যমে নানান কৌশলে সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারণা করে যাচ্ছে। অনলাইন হওয়াতে তাদের প্রতারণার কৌশল ভিন্ন। অনেক সময় দেখা যাচ্ছে স্টেশনে এসে কেউ রেলের টিকেট পাইনি তাদেরকে তার্গেট করে নাম মাত্রা টাকা নিয়ে তাদেরকে রেলে যাতায়াতের সুযোগ করে দেয়। পরবর্তীতে অনলাইন প্লাটফর্মে তাদের সাথে যোগাযোগ কন্টিনিউ করে। একপর্যায়ে সময় বুঝে টিকেট সংগ্রহ করে দিবে বলে অনলাইনে টাকা নিয়ে টিকেট সংগ্রহ না করে দিয়ে গ্রাহকের সাথে যোগাযোগ বিছিন্ন করে দেয়। এমনই একজনের তথ্য পেয়েছি আমরা যার নাম রাতুল আহমেদ। রাতুল কখনো কমলাপুর স্টেশন কখনো এয়ারপোর্ট রেল স্টেশনে খাপটি মেরে বসে থাকে। সময় বুঝে যাত্রীদের সাথে প্রতারণা করে আসছে দিনের পর দিন।
তার টার্গেট সহজ সরল মানুষের উপর যখন দেখে টিকেট ছাড়া ভ্রমণ করতে চাচ্ছে তখন রাতুল আহমেদ তাদের সাথে যোগাযোগ করে রেল পুলিশের সাহায্য নিয়ে তাদেরকে সিট ব্যবস্হা করিয়ে দেয়। এক পর্যায়ে তাদের সাথে সম্পর্ক বৃদ্ধি করে নেয়। প্রলোভন দেখায় কখনো রিকেট লাগলে তার সাথে যোগাযোগ করতে সে যেকোনো সময়ে টিকেট ব্যবস্হা করে দিবে। তার রসালো কথায় মানুষ বিশ্বাস করে টাকা পাঠালে সে সকল প্রকার অনলাইন অফ লাইন প্লাটফর্মে যোগাযোগ বিছিন্ন করে দেয়। রাতুল আহমেদের বয়স সম্ভাব্য ২২ বছর হবে। নিজেকে পরিচয় দেন রেলের গুরত্বপূর্ণ স্টাফ বলে। রাতুল আহমেদ পরিচয় দেন তার বাবা সেনাবাহিনীর উচ্চ কর্মকর্তা। রাতুল আহমেদ এভাবে একের পর এক প্রতারণা করে যাচ্ছে। সাধারণ ভ্রমণ পিপাসুদের দাবী রাতুলকে যেন আইনের আওতায় নিয়ে আসা হয়।
সম্পাদক ও প্রকাশক: রফিকুল ইসলাম
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা-১৩১০