--------
রাশেদ খান মেনন।বাংলাদেশে বামপন্থী ধারার রাজনৈতিক সংগঠন বাংলাদেশ ওয়াকার্স পার্টির সভাপতি।বর্তমান ঢাকা-৮ সংসদীয় আসনের সংসদ সদস্য।বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকারের হয়ে নির্বাচন করে পরপর দুইবার মন্ত্রীসভায় স্থান পেয়েছিলেন।কিন্ত ২০১৯ সালে গঠিত নতুন মন্ত্রীসভায় ঠাই মেলে নাই মুখচেনা কয়েকজন নেতাসমৃদ্ধ এই দলের সভাপতি মহোদয়ের।সেটা আলোচনার বিষয়বস্তু নয়।বর্তমানে তিনি বিগত নির্বাচন নিয়ে কুৎসা রটাচ্ছেন সেই নির্বাচনের একজন নির্বাচিত সংসদ সদস্য হয়ে আমার প্রশ্ন সেখানেই।কই মন্ত্রীসভায় স্থান না পাওয়ার পরেও আপনার এই নীতিবাক্যগুলো তো গনমাধ্যমে আসে নাই।মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সরাসরি নির্দেশে দেশে চলমান শুদ্ধি অভিযানে যখন ঢাকা মহানগর দক্ষিন যুবলীগের কয়েকজন প্রভাবশালী নেতা তাদের বিতর্কিত কর্মকান্ডের কারনে গ্রেফতার ও জিজ্ঞাসাবাদের স্বীকার হন তখন কিন্ত আপনি সরব হওয়ার আগেই আপনার আলোচনায় তৎপর ছিলো মিডিয়া।
আপনি সাক্ষ্য দিয়ে বলছেন বিগত নির্বাচনে সাধারন জনগন তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে নি।জানি না কোন ক্ষোভের বর্শবর্তী হয়ে আপনি এই রুপ কথা বললেন!তবে যেই কারনেই বলুন না কেন তাহলে আপনি কিভাবে সেই নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত হওয়া সংসদের সদস্য থাকেন?নীতির জোড় যদি এতদূর হয় তবে নৈতিক ভাবে আপনার এই পদ ধরে রাখার বৈধতা কতটুকু।
বিভিন্ন গনমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্যনুযায়ী ক্যাসিনো পরিচালনার অভিযোগে আটককৃতরা আপনার সাথে তাদের যোগসাযোগের কথা বলেছেন।
দৈনিক যুগান্তরের ২০ শে অক্টোবরের সংবাদ অনুযায়ী গ্রেফতার হওয়া ঢাকা মহানগর দক্ষিন যুবলীগের প্রভাবশালী নেতা ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট জিজ্ঞাসাবাদে বলেছেন যে আপনি নাকি প্রায়ই বলতেন"সম্রাটের হৃদয় আকাশের মতো বিশাল,ও অনেক বড় নেতা হবে"।কোন নেতার নেতৃত্বের প্রসংসা করা দোষের কিছু নয়।কিন্ত ঐ মুখে আপনার ইদানিং কালের বক্তৃতাগুলো সাধারন জনগনের মনে জানান দিচ্ছে নানান প্রশ্নের।
দেশের মানুষ এখন সচেতন,কথার পেছনে কারন খুজে নিতেও কিন্ত তাদের সময় লাগে না।আশা করি আমার অব্যক্ত কথাটি পাঠকবৃন্দ বুঝতে পারবেন।
সবশেষে বলবো মহাজোট তথা আওয়ামীলীগের আর্শীবাদপুষ্ট হয়ে যে পদে আপনি আসীন আছেন সেখান থেকে এইরুপ কথা বার্তা বড্ড বেমানান।
প্রয়োজনে পদত্যাগ করুন,তারপরে না হয় বাকি প্রলাপগুলো তুলে ধইরেন।

তালুকদার সুকান্ত লেনিন
সমাজবিজ্ঞান বিভাগ
ঢাকা কলেজ, ঢাকা।