মজিবর রহমান, মাদারীপুর।
বাংলাদেশের ব্যাংকিং ব্যবস্থার অতীত সেবামূলক মানসিকতা ধরে রাখা প্রয়োজন। ইদানিং কিছু ব্যাংক কর্মজীবীদের আমলাতান্ত্রিক আচরণ পরিহার যোগ্য।
বি আর সি বা ব্যাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণে ব্যাংকের নিয়োগ পদ্ধতি যৌক্তিক কারণেই সাধারণ সকল বিষয়ে শিক্ষিত লোককে নিয়োগ প্রদান করা হয়।
তবে কর্মজীবীগণ পদোন্নতি প্রাপ্ত হয়ে যখন সিনিয়র কর্মকর্তার পরবর্তী ধাপে পদোন্নতি পান তখন অবশ্যই তাঁরা ব্যাংকিং বহু প্রশিক্ষণ পেয়ে ব্যাংকিং টেকনিক্যাল জ্ঞান অর্জন করে থাকেন। সে ক্ষেত্রে হঠাৎ ব্যাংকিং টেকনিক্যাল জ্ঞান বিহীন কাউকে নিয়ন্ত্রণীকারী কর্তৃপক্ষ করা হলে কিছু সমস্যা যৌক্তিক কারণে হতে পারে।
তা ছাড়া ব্যাংক থেকে যদি জমির পরিবর্তে লোন দেয়া হয় তবে ঐ জমির মূল্য নির্ধারণ করতে সরকার কর্তৃক সাব রেজিষ্টার অফিস সহ যে সব স্থাণে মূল্য তালিকা আছে তা যাঁচাই বাছাই সহ সরেজমিন তদন্ত করে লোন দেয়া উচিৎ। কারণ ঐ লোন যেন পরিবর্তীকালে খেলাফি ঋন বা ঋন খেলাফিতে পরিনত হয়ে অনাদায়ে দেশের ক্ষতিতে পরিনত না হতে পারে।
বর্তমান কিছু অসাদু চক্রের ব্যংক সম্মন্ধে কিছু প্রপাগান্ডা ছড়াচ্ছেন যে ব্যাংকে টাকা রাখা নিরাপদ নয় এ সব আমলে নিয়ে জনমনে যেন বিভ্রান্তি না ছড়িয়ে পড়ে সে বিষয়ে ক্যাম্পিং সহ ব্যাংকের প্রকাশ্য স্থাণে ব্যাংকের সেবা সমূহ টানিয়ে জনসেবা নিশ্চিত করা প্রয়োজন।
এক কথায় মানুষ তাঁর সঞ্চয় বা মজুদকৃত টাকা ঘরে রাখা নিরাপদ না বরং যত কম সময়ের জন্যই হোক ব্যাংকে রাখা হোক এ বিষয়ে জনগণকে আশ্বস্থ করে দেশের ব্যাংক তথা অর্থ ও অর্থনীতি সচল রাখা প্রয়োজন মনে করি।
সম্পাদক ও প্রকাশক: রফিকুল ইসলাম
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা-১৩১০