——–
বিশ্ববিদ্যালয় মানে ক্যাম্পাস, বিশ্ববিদ্যালয় মানে বন্ধু, বিশ্ববিদ্যালয় মানে আড্ডা,বড় আপু-ভাইয়াদের অকৃত্রিম ভালোবাসা আর বিস্তৃত পরিসরে নিজেকে সবার সামনে তুলে ধরা। এই অনুভূতিগুলো আসলে বিরল। একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হিসেবে আমার ক্ষেত্রেও অনুভূতিগুলো ছিল একই রকমের।
প্রিয় ক্যাম্পাস,ক্যাফেটেরিয়ার কফির সুন্দর ঘ্রাণ, লাল বাস (বিশেষ করে কমলা সুন্দরী) বন্ধু,আড্ডা এবং নিজেকে মেলে ধরার মধ্যে আমি আমার জীবনের তৃপ্তি খুঁজে পাচ্ছিলাম। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটা সকাল যেন সোনালী আলোর মতো দীপ্ত। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটা দিন যেন মুক্তাঝরা দিন। এমন মনে হয়, যদি দিনটা শেষ না হতো, তাহলে বুঝি কতই না ভালো হতো।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যেকটি আঙ্গিনা এখন আমার মনের সাথে সম্পৃক্ত। আমার জীবনে বড় একটি প্রাপ্তি হলো, আমি একজন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। ভর্তিযুদ্ধে বিজয়ী হয়ে ক্যাম্পাসের অনুভূতিটা একজন শিক্ষার্থীর জীবনে অমূল্য স্মৃতি হয়ে থাকে,তেমনই আমার জীবনেও।
চমৎকার,সুন্দর নীলচে আকাশ,শারদীয় মেঘ,শিউলি ঝরা প্রভাত,প্রকৃতির সূচি শুভ্র উত্তরীয়তে প্রকৃতি যখন অনিন্দ্য সুন্দর,তখনই বিশ্ববিদ্যালয় নামক নতুন পৃথিবীতে আমার প্রথম আগমন। সেদিন মনে ছিল আনন্দ আর চোখে ছিল কৌতূহল। প্রিয় ৭৫ একর ক্যাম্পাসটি ঘুরে দেখার পর মনে হলো, আমার অধ্যয়ন আজ স্বার্থক হয়েছে। সত্যি বলতে, বিশ্ববিদ্যালয় আমার জীবনের অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ হয়ে উঠেছে,যেটি আমাকে শিখিয়েছে অনেক কিছু,দিয়েছে অনেক জ্ঞান।
বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে ম্যানার শেখা,যেটি নবাঙ্কুররা তাঁদের ইমিডিয়েট ভাইয়া-আপু,অন্যান্য সিনিয়রদের কাছ থেকে শিখে থাকেন। এটি বিশ্ববিদ্যালয়ে চলার পথকে সুগম করে। ব্যাক্তি জীবনে মানবিক,ধৈর্য্যশীল,ব্যাক্তিত্ববান,শ্রদ্ধাশীল ও দায়িত্ববান মানুষ হতে সহায়তা করে।
বিশ্ববিদ্যালয় আমাকে আমার জীবনের আসল অর্থ উপলব্ধি করতে শেখাচ্ছে। আমি চাই এই সোনালী দিনগুলো যেন আজীবন আমার স্মরণে থাকে। গর্বিত আমি বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হিসেবে।
——-
মোঃ রাসেল হোসাইন
শিক্ষার্থী, জেন্ডার অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগ
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়,রংপুর