——————-
নিঃসন্দেহে রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের কারণেই ৭১ এ যুদ্ধ বিধ্বস্ত বাংলাদেশ আজকে তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোর কাছে উন্নয়নের রোল মডেল। প্রতি বছর রেমিট্যান্স অর্জনে প্রথম সারিতেই থাকি আমরা। এটা সত্যিই খুশির খবর কিন্তু এর পিছনের অধ্যায়টা তেমনই বেদনা দায়ক।
পরিবার পরিজন, মা বাবা কেহ বা স্ত্রী, ছেলে মেয়ে রেখে পরিবার আর দেশের কল্যানার্থে প্রবাসে কাটিয়ে দেন জীবনের মূল্যবান সময়গুলো।
আমি এমনও প্রবাসীদের কথা জানি যারা তাদের ছেলেমেয়েদের ছোট অবস্থায় রেখে প্রবাসী হয়েছেন। প্রযুক্তির সুব্যবস্হা ভিডিও কলের সিস্টেম না থাকলে হয়তো বাবা তার সন্তানেরকেও চিনতেন না।
বাবা মা আর স্ত্রী, সন্তানের চাহিদা মেটাতে একজন রেমিট্যান্স যোদ্ধা নিজের জীবনকে প্রায় উৎসর্গ করে দেন বললেই চলে।
ব্যক্তিগতভাবে আমি প্রবাস জীবন পছন্দ করিনা। আমার মতামত হচ্ছে প্রবাসীরা যে টাকা খরচ করে বিদেশে যান সে টাকা খরচ করে দেশে বসেই তারা স্বল্প পরিসরে নিজেরাই উদ্যেক্তা হতে পারেন।
কৃষি ডিপ্লোমা কোর্স করায় এমন ধারণা আসলো মাথায়। আমরা খামার বাড়ি তৈরি করে একটি আদর্শ বাড়ি বানাতে পারি যেখানে থাকবে ফল বাগান, সবজি বাগান,ফুল বাগান এবং মাছ চাষ ও হাঁস মুরগির সমন্বিত লালন পালনের সুব্যবস্হা।
এতে করে আমরা আমাদের প্রয়োজনীয় অর্থের চাহিদা মেটাতে সক্ষম হবো।
প্রবাস জীবনটা একদম বোরিং লাগে আমার কাছে। কেহ আবার চোখে আঙুল দিয়ে না বলেন যে তারা তাদের অর্থের যোগান দিতেই এত কষ্ট সহ্য করেন সে জন্য খামার বাড়ির কথা বললাম। এরকম আরো অনেক উপায় আছে সনির্ভর হওয়ার জন্য।
শিক্ষার্থী,
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়