ঢাকাসোমবার , ৭ জুলাই ২০২৫
  1. সর্বশেষ

দেশীয় পোনামাছ নিধন বন্ধ করতে হবে

প্রতিবেদক
নিউজ ডেস্ক
৩০ এপ্রিল ২০২৫, ১১:১৩ পূর্বাহ্ণ

Link Copied!

ওবায়দুল মুন্সী :

দিন দিন আমাদের মিটাপানির দেশীয় লোকাল মাছ কমে যাচ্ছে। ঐতিহ্যবাহী মাছ বাজারগুলো গেলে দেখা যায়, চাষের মাছে বাজার সয়লাব কিন্তু দেশীয় মাছ নেহায়েত কম। তার কারণ-হাওরাঞ্চলে মাছের অভয়ারণ্যের পর্যাপ্ত জলাভূমি নেই! যেগুলো আছে,ঠিকমতো পরিচর্যা ও প্রশাসনিক তদারকির অভাবে ঠিকভাবে মাছের বংশবিস্তার হচ্ছে না।

এদিকে বিলবাদাল শুকিয়ে মাছ ধরার কারণে আস্তে আস্তে দেশি মাছের সংখ্যাও কমে আসছে। মাছের অভয়ারণ্য সৃষ্টি করতে না পারলে অদূর ভবিষ্যতে দেশীয় মাছ বিলুপ্ত হয়ে যেতে পারে।

চৈত্রের শেষে যখন বৃষ্টি শুরু হয় তখন খাল-বিল, নদী-নালা, হাওর-বাঁওড় ও বিভিন্ন জলাশয়ে পানি জমতে থাকে এবং মা মাছগুলো ডিম ও পোনা ছাড়ে। বৈশাখ মাসে এই পোনামাছ বাড়তে থাকে।

কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো, কিছু বিকৃত বুদ্ধিসম্পন্ন, অসাধু ও অসচেতন মানুষ এই ডিমওয়ালা মা ও পোনা মাছের ঝাঁক নির্বিকারে নিধন করে আসছে। নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল, বাদাই জাল, সুতি জাল ব্যবহার করে প্রকাশ্যে চলে এ নিধনযজ্ঞ এবং বাজারে বিক্রিও হয় চড়া দামে।

রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ রাত ৯ টায় পাগলা বাজার থেকে খেয়াযোগে মহাসিং নদী পাড়ি দিয়ে কাদিপুর আসছিলাম। নদীতে বিরাট নেটের জাল ফেলেছে স্থানীয় জেলেরা। যে জালে মাছের ডিম সহ উঠে আসে। অনেকটা আবেগের বশেই জেলেদের বলেছিলাম-‘ভাইয়েরা একটা মাস পর জালটা ফেলতেন!তাহলে তো মাছের ডিমগুলো থেকে অনেক পোনা বের হতো। এতে নদীতে মাছে ভরে যেত।’

জবাবে, জেলেরা বললো-“ঠিকাছে, আমরা একমাস নয়!তিন মাস জাল ফেলবো না। এই তিন মাস আপনি আমাদের খাওয়াতে পারবেন?” আমি নিরোত্তর ছিলাম।

ঠিকই তো! জেলেদের এই পেশাকে বন্ধ করে দিলে,পরিবার নিয়ে চলবে কীভাবে। তাহলে বুঝা গেলো,মাছের প্রজননকালীন সময়ে জেলেদের ভাতা প্রদানের ব্যবস্থা করতে পারলে তবেই তিন মাস মাছ ও পোনা নিধন বন্ধ হতে পারে। এবিষয়টি স্থানীয় প্রশাসন সরকারকে জরুরিভাবে অবহিত করতে পারেন।

মা মাছ নিধন মানে দেশের ক্ষতি দশের ক্ষতি। পোনামাছ ধরা থেকে বিরত থেকে তাদের বড় হতে দিতে হবে। এই মাছগুলোই এক বছরের খাবার হয়ে ফিরে আসবে। তাই আসুন, মাছের প্রজন্ম রক্ষায় আমরা সচেতন হই।

মাছের এই প্রজনন সময়ে হাওরাঞ্চলের জলাভূমিগুলো পুলিশ ও সেনাবাহিনীর মাধ্যমে পাহারা বসানো যায় এবং পেশাজীবী জেলেদের ত্রৈমাসিক ভাতার ব্যবস্থা করে লাগাতার তিন বছর এভাবে রাখতে পারলে আবারও দেশি মাছে হাওর ভরে যাবে। আমরা আবারও মাছেভাতে প্রকৃত বাঙালি হবো।

পরিশেষে বলবো আমরা লেখকরা শুধুই লিখে যাচ্ছি। প্রকৃতপক্ষে সরকার কর্তৃক প্রশাসনিক ব্যবস্থা ও গুরুত্ব না দিলে কাজের কাজ কিছুই হবে না। দেশের হাওরাঞ্চলের মৎস্য কর্মকর্তাদের এ ব্যাপারে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।

লেখক: কবি ও প্রাবন্ধিক
সদস্য,হাওর বাঁচাও আন্দোলন,সুনামগঞ্জ।

261 Views

আরও পড়ুন

চকরিয়ায় অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ৭ পরিবারকে নগদ সহায়তা দিলেন এমপি প্রার্থী আব্দুল্লাহ আল ফারুক

দোয়ারাবাজার উপজেলা কিন্ডারগার্টেন এসোসিয়েশনের আনন্দ ভ্রমণ

জুলাই-আগস্ট ভারতীয় আগ্রাসন থেকে মুক্তির মাস: হোসেন আলী

সুনামগঞ্জ হাসপাতালে নিয়োগে ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন

মধ্যনগর বি.পি.উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের সাবেক সহকারী প্রধান শিক্ষক মনির উদ্দিন এর ৪র্থ মৃত্যুবার্ষিকী পালিত

সেঞ্চুরিয়ান লিও ক্লাবের নতুন কমিটি ঘোষণা

গাইবান্ধায় প্রশিকা মানবিক উন্নয়ন কেন্দ্রের কর্মপরিকল্পনা শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত।

কাপাসিয়ায় জামায়াতে ইসলামীর সহযোগী ও কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত

‘মনগড়া অপপ্রচার’: শাহপরীর দ্বীপ জেটি ইজারা বিতর্কে আইনি পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি

চকরিয়ায় অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে নগদ অর্থ সহায়তা দিলেন জামায়াত নেতা ফারুক

চকরিয়ায় দাঁড়িপাল্লার ব্যাপক গণসংযোগ

ইসলামী আদর্শে বলীয়ান যুব শক্তির বিকাশে গাজীপুরে ঐতিহাসিক যুব সম্মেলন