----------------------------
আমাদের বর্তমান আর্থ-সামাজিক অবস্থা সিনেমার গানের মতো উরা ধুরা হয়ে উঠছে। সমাজের উচ্চস্তর থেকে নিম্নস্তর পর্যন্ত কোথাও সততা নৈতিকতা মানবতা এবং ধর্মীয় বিশ্বাসের লেশমাত্র নেই। দুই বাহিনীর প্রধান, ছাগল কান্ড, কোটি টাকার গরু, সাদিয়া এগ্রো, এন বি আর'র মতিউর , প্রধান বন রক্ষক, কাস্টমস ও উচ্চপদস্থ পুলিশ কর্মকর্তা, পিএসসি'র কর্মকর্তাসহ ড্রাইভারের সংশ্লিষ্টতায় প্রশ্নপত্র ফাঁস থেকে শুরু করে সমাজের সব স্তরের মানুষ দূর্নীতি অনিয়মের মাধ্যমে স্বনামে বেনামে দেশ এবং রাষ্ট্রের হাজার কোটি হাতিয়ে নিয়েছে।
কথায় বলে -- সরকার কা মাল দরিয়ামে ডাল। সরকারের অর্থে দান সাদাকা মসজিদ নির্মাণের মতো কাজগুলো যে আল্লাহর সাথে প্রতারণা প্রবঞ্চনা করার সামিল তা কী এসব ধর্ম-পাপী এবং ভন্ডরা আদৌও বুঝতে সক্ষম? ব্যাংক লুটেরা অসৎ ব্যবসায়ী, দূর্নীতিবাজ আমলা এবং দেশের অর্থ পাচারকারীরা এখন বিদেশে রাজকীয় জীবন যাপন করছে দেশের মানুষের হাজার হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ এবং লুটপাট করে। দু:খের বিষয় দেশের অনেক পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরাও দূর্নীতি অনিয়মের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছে।পাশাপাশি গরীব দু:খী অসহায় জন সাধারণের টাকায় বিদেশে ডিগ্রি অর্জন করতে গিয়ে অনেক জ্ঞানপাপী দেশে ফিরে আসেনা। দেশের মেধা এভাবে পাচার হচ্ছে অহরহ। এদের শিক্ষা-দীক্ষা বিদ্যা-বুদ্ধি সৌজন্যতা নীতি নৈতিকতা বিদেশের প্রাচুর্যময় রংগিন জীবন এবং মোহের পদতলে সমর্পিত হচ্ছে। শিক্ষক সমাজের এমন চারিত্রিক স্খলন আমাদেরকে বিস্মিত এবং বিক্ষুব্ধ না করে পারে না।
একথা আজ নি:সন্দেহে বলা যায়, অবৈধ অর্থ ও টাকার কাছে সুখী সুন্দর নৈতিক জীবন যাপন আজ উরাধুরা হয়ে যাচ্ছে। আমরা শুধুই সৃষ্টি কর্তার কাছে পচা নষ্ট ভ্রষ্ট পথহারা সমাজের অবক্ষয় রোধ করার পাশাপাশি রক্তের দামে কেনা দেশটার প্রতি সম্মান ও দেশপ্রেম জাগরূক করার জন্য দোয়া করতে পারি। মুক্তি যুদ্ধের ত্রিশ লক্ষ শহীদ আর ইজ্জৎ ও আভ্রুহারা দুই লক্ষ মা-বোনদের কাছে তাঁদের আত্মত্যাগের জন্য ক্ষমা চাইতেও লজ্জা বোধ করছি নির্লজ্জ দেশদ্রোহী চোর বাটপার এবং ডাকাতদের নৈতিক অধ:পতনের জন্যে।
ওরা জেনে শুনে বুঝে শুনে স্বজ্ঞানে স্বেচ্ছায় পরকালের তোয়াক্কা না করে এহেন জঘন্য ন্যাক্কারজনক অপরাধ করছে। এসব অপরাধীরা লজ্জা শরম হায়া জলাঞ্জলী দিয়ে সমাজে বুক ফুলিয়ে হাটে।এদের বিবেক বুদ্ধি বিচার বিবেচনাবোধ লোপ পেয়ে পশুতে পরিণত হয়েছে।
এসব অমানুষদের প্রতি ধিক্কার থু থু ছি: ছি: করতেও গা ঘিন ঘিন করছে। তবুও তোদের সবার প্রতি আমাদের অন্তর থেকে ধিক্কার ধুয়ো ছি: ছি: এবং থু থু।
সম্পাদক ও প্রকাশক: রফিকুল ইসলাম
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা-১৩১০