--------------------------
মানুষ জন্ম নেয়ার পর থেকে ক্রমেই বেড়ে উঠে। সমাজের নানা ঘাত-প্রতিঘাত, সুখ-দুঃখের নানা পথ পাড়ি দিয়ে কিশোর ও যৌবন পাড়ি দিয়ে জীবনের ক্রান্তিলগ্নে পৌঁছে। এক সময় শরীরে বার্ধক্য আসে। কমে আসে কর্মক্ষমতা। সুস্থ স্বাভাবিক প্রতিটি মানুষের জীবনেই এই চক্র আবর্তিত হয়। আজ আমাদের মা-বাবা প্রবীণ ব্যক্তি। আগামীকাল আমার জন্যও এই সময়টা অপেক্ষা করছে। বার্ধক্য প্রকৃতির স্বাভাবিক নিয়ম। মানুষের জীবনে বার্ধক্যের বাস্তবতাকে অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই। ঠিক সে রকম একজন মানুষের জীবন নিয়ে কিছু লেখার চেষ্টা।আর এই চেষ্টা একজন মানুষের জীবন বদলে দিতে পারে সহজেই।
বিশ্বের সফল ব্যক্তিদের জীবনী পড়লে দেখা যায়, তাঁদের এমন কিছু অভ্যাস রয়েছে, যার জন্য তাঁরা জীবনের সেরা অবস্থানে এসেছেন। এই অভ্যাস ও চর্চা যেকোনো মানুষের জীবনে ইতিবাচক প্রভাব রাখতে পারে। তাঁদের এ রকম কিছু গুণ আমরা খুঁজে পাই প্রিয় সোবহান ভাইয়ের মাঝে।
প্রতিভা (ইংরেজি: Genius) ব্যক্তির অসাধারণ সৃজনীশক্তি, ব্যতিক্রমধর্মী বুদ্ধিমত্তাবিশিষ্ট গুণাবলী বিশেষ। তিনি অন্তঃর্নিহিত ব্যতিক্রমধর্মী বুদ্ধিবৃত্তি চর্চার সক্ষমতা, সৃজনশীলতা অথবা জন্মগত ও প্রকৃতিগতভাবে একে বাস্তবে রূপান্তরিত করতে সক্ষম হন। যিনি এ গুণাবলীর অধিকারী তিনি প্রতিভাবান হিসেবে চিহ্নিত।
প্রিয় সোবহান ভাইয়ের গুণাবলী লিখে শেষ করা যায় না।তবুও সামান্য কিছু কথা না লিখলে নয়।ভালো মানুষ তার পরিচয় শরীরে লেখা থাকে না কথাবার্তায়, চলাফেরা ও কাজের মাধ্যমে ফুটে ওঠে একজন মহৎও প্রতিভাবান ব্যাক্তি্র পরিচয়।পৃথিবীতে অনেক মণীষী ছিলেন বা আছেন যাদের কথা না বললে ভুল হবে।যেমন প্রতিভার গুণেই আড়াই হাজার বছর পরেও এরিস্টটল জ্ঞানীজনদের গুরু। গ্রিক সাহিত্যের হোমার, ইংরেজি সাহিত্যের শেক্সপিয়র, বাংলা সাহিত্যের রবীন্দ্রনাথ, নজরুল প্রতিভার উজ্জ্বল নক্ষত্র। বিজ্ঞানী নিউটন, গ্যালিলিও, এডিসন, আলেকজান্ডার ফ্লেমিং প্রমুখের শ্রেষ্ঠত্ব প্রতিভাগুণেই। জগদ্বিখ্যাত লেনিন, মাও সে তুং, মহাত্মা গান্ধী, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রমুখ ব্যক্তি প্রতিভা ও সাধনার গুণেই আমাদের মাঝে অমর হয়ে আছেন। এরা প্রত্যেকে ছিলেন স্ব-স্ব ক্ষেত্রে প্রতিভাবান ব্যক্তিত্ব ।ঢাকা তেজগাঁও রেজিস্ট্রেশন কমপ্লেক্সের মোহাম্মদ পুর সাব রেজিষ্ট্রি অফিসের চিরচেনা মুখ এবং সকলের প্রিয় একজন মানুষ জনাব আবদুস সোবহান যিনি জীবনে অনেক পরিশ্রম করে প্রতিষ্টিত হয়েছেন।যার সাথে কারো তুলনা দেয়া যায় না।তিনি শুধুমাত্র একজন পেশাদার চাকুরী জীবি মানুষ নয় তার ভেতরে আছে অফুরন্ত গানের কন্ঠ।আজকে লাইভে এসে তিনি অসাধারণ গান গেয়ে অনেক মানুষের মন জয় করেছেন।তার জন্য অনেক অনেক দোয়া ও শুভকামনা রইলো।মহান আল্লাহ তায়ালা যেনো তাকে নেক হায়াত নসীব দান করেন এবং আমাদের মাঝে সবসময় সুস্থতার সহিত সকলকে সেবা দিয়ে যেতে পারেন।
সত্যি তার কর্মময় জীবন অতি সুন্দর ও সচ্ছলতার আবিরে ঢাকা পরে আছে।
সফল ব্যক্তিদের জীবনে সময়কে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। তাঁরা তাঁদের সময়কে সঠিকভাবে ব্যবহার করেছেন। কোন কাজটি আগে করতে হবে, কোন কাজটিকে প্রাধান্য দিতে হবে, সে বিষয়ে খেয়াল রাখাটা জরুরি বলে মনে করেন খ্যাতিমানেরা। জীবনে সময় চলমান ও নির্দিষ্ট, তাই সময়ের অপচয় যাতে না হয়, সেটি মেনেই আজ তাঁরা সফল। সময় নিয়ে প্রয়াত মার্কিন প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডি বলেছেন, ‘সময়কে কাজ করার যন্ত্র হিসেবে ব্যবহার কর, আরামদায়ক আসন হিসেবে নয়।’
যাঁরা জীবনে সফল, তাঁদের বেশির ভাগই বলেন, তাঁরা এখনো শিখছেন। তাঁরা মনে করেন, জ্ঞান হচ্ছে শক্তি। তাই নতুন কিছু শেখা ও দক্ষতা বাড়ানো সাফল্যের একটি প্রভাবক হিসেবে কাজ করে। পরিবর্তনশীল বিশ্বের সঙ্গে নিজেকে উপযোগী করে তুলতে নতুন কিছু শেখার বিকল্প নেই। ভারতীয় লেখক ও শিক্ষক সুধা মূর্তি বলেন, ‘জীবন একটি পরীক্ষা, যেখানে সিলেবাস অজানা, প্রশ্নপত্রও নির্ধারিত নয়, এমনকি মডেল টেস্টের কোনো সুযোগ নেই।’
সফলতার পথে এগিয়ে যেতে হলে অনেক বাধা পেরোতে হয়। জীবনের প্রতিটি মোড়ে নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে হয়। সফল ব্যক্তিদের জীবনের গল্প বলে, তাঁরা কেউ খুব সহজে এই সাফল্য অর্জন করেননি। অনেক ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্য দিয়ে আজকে নিজেদের উদাহরণ হিসেবে তৈরি করতে পেরেছেন। ভারতীয় শিল্পপতি রতন টাটা বলেন, ‘লোহাকে কেউ ক্ষয় করতে পারে না, কিন্তু এর নিজের মরিচাই একে ধ্বংস করে। তেমনি একজন মানুষকেও কেউ নিঃশেষ করতে পারে না, তাঁর চিন্তাধারাই ঠিক করে, সে সফল হবে না ধ্বংস।’
সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতা থেকেই সফল ব্যক্তিরা নানান উন্নয়নমূলক কাজ করে থাকেন। সুবিধাবঞ্চিত ও সমাজের জন্য ভালো কিছু করার মাধ্যমে নিজেদের সফলতাকে তাঁরা উদ্যাপন করেন। সফল ব্যক্তিদের অনেকেই দাতব্য সংস্থার সঙ্গে জড়িত। এ ছাড়া সমাজের প্রতি নানাভাবে তাঁরা বাড়িয়ে দেন সাহায্যের হাত।মে শক্ত দুটো হাত সবসময় গরীব অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে এবং কাঁদে কাদ মিলিয়ে কাজ করতে উৎসাহিত করে। মহান আল্লাহ তায়ালা প্রিয় ও গুণী মানুষকে সবসময় সুস্থ্য ও ভালো রাখবেন ইনশাআল্লাহ।
মোঃ ফিরোজ খান
লেখক সাংবাদিক
ঢাকা বাংলাদেশ
সম্পাদক ও প্রকাশক: রফিকুল ইসলাম
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা-১৩১০