---------
ডাঃ আলী আসাদুল্লাহ হোসাইনী। নারায়ণহাট আদর্শ ডিগ্রী কলেজের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ বরেণ্য শিক্ষাবিদ প্রিন্সিপাল জহুরুল ইসলাম হোসাইনী ও পশ্চিম হাসনাবাদ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষিকা সৈয়্যদা ফোজিয়া নাজনীন দম্পতির কনিষ্ঠ পুত্র। গর্বিত এ পরিবারের বড় সন্তান ফারহানা তাবাসসুম মুক্তা ইংরেজি বিষয়ে অধ্যাপনা করছেন। বাকিরা ডাক্তার। ফটিকছড়ির আলোকিত গ্রাম হাসনাবাদের এই গুণী পরিবারের সন্তানেরা দ্যুতি ছড়িয়েছে দেশসেরা বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। এবার ছড়িয়ে পড়ছেন দেশসেবার ব্রত নিয়ে। সম্প্রতি কক্সবাজার মেডিকেল কলেজে সাত বছরের শিক্ষা জীবন ও ইন্টার্নশিপ শেষ করে ফিরছেন ডাঃ আলী আসাদুল্লাহ হোসাইনী।
পাঠকদের সুবিধার্তে হুবহু তুলে ধরা হলো ডাঃ আলী আসাদুল্লাহর অনুভূতির পোস্টটি-
একটা মিশ্র অনুভূতি হচ্ছে
পরিবারের কাছে ফিরে যাওয়ার আনন্দ
এবং কক্সবাজার ছেড়ে যাওয়ার কষ্ট।
সাত বছরের দীর্ঘ যাত্রার এখানেই সমাপ্তি।
এই শহরের অলিতে গলিতে আমি হেটেছি
আমার রং ওঠা ধূসর হুডি নিয়ে,
ধূলিধূসরিত পায়ে বহুকালের জংধরা বালি নিয়ে।
আমার ভাঙাচোরা বাইসাইকেল জানে
তার পিঠে আমার অত্যাচারের গল্প,
রাতের মেরিন ড্রাইভ রোড জানে
আমার বেকারার নফসের চিৎকার,
সমদ্রের বিশালতা জানে
আমার এক আল্লাহ ছাড়া আর কারো কাছে
মাথা নত না করার গল্প।
সাতটি গ্রীষ্মের খরতাপেও
রবের পক্ষ হতে
আমি উপহার পেয়েছি সাতটি বসন্ত।।
এখানে আমি হেটেছি
হোচট খেয়েছি ওঠে দাড়িয়েছি
আবার হোচট খেয়েছি আবার দাড়িয়েছি
এ মাটি আমাকে থামতে দেয়নি।।
অসংখ্য রাতের ঘোর অমানিশায়ও
আমি নির্বিকার পথ হেটেছি।
এখানে আমার ক্যাম্পাস
আহ! আমার ক্যাম্পাস
তুমি বড্ড মায়াবিনী,,,
লাজুক ভোরে আযানের সুমধুর তানে
ঝাউগাছের চুঁইয়ে পড়া শিশিরে
পাহাড়ের কোলে বুনো হাওয়ায়
আমার মায়াবিনী ক্যাম্পাস।।।
আরো অসংখ্য চিকিৎসকের ওয়ালে
তোমাকে নিয়ে কাব্য রচিত হবে
কি মায়া ছড়ালে!!!
এই শহরে আমি পরিচয় পেয়েছি
আমার পরিবার, আমার স্ত্রী- সন্তান
পেয়েছি ফেরেশতার মত বড়জন, ছোটজন
ঈর্ষণীয় বন্ধুবর্গের সান্নিধ্য,
অসংখ্য ছাত্র, অভিভাবক
পেয়েছি শতশত স্মৃতি,
তাহাজ্জুদের জায়নামাজের উদার জমিনে
কলমের খোঁচায় তৈরি রোডম্যাপ।
অবশেষে এই বাজারে আমি বেচাকেনা শেষ করেছি।
এ বদর মোকাম ছেড়ে যেতে কষ্ট হচ্ছে
বুকের মাঝে ফাঁকা ফাঁকা লাগছে
প্রিয়জনের বিদায়ে যেমন ধূসর হয়ে আসে দুনিয়া।
হে মাটি, তুমি সুবহে সাদিকের আলোয়
রাতের মুসাফিরদের খুজবে?
এই শহরের মানুষেরা ভাল থেকো,
আলবিদা বদর মোকাম।।
সম্পাদক ও প্রকাশক: রফিকুল ইসলাম
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা-১৩১০