আবু নাসের ইরফান,কক্সবাজার :
করোনা পরিস্থিতিতে দীর্ঘ লকডাউনের মধ্যে এবার উদযাপিত হয়েছে পবিত্র ঈদুল ফিতর। এক ব্যতিক্রমী ঈদ উদযাপন করেছে পুরাে বিশ্ববাসী। মুসলিমদের বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ইদুল ফিতর। প্রতিবছর ঈদে পর্যটকের ঢল নামে পর্যটন নগরী কক্সবাজারে। কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে এবারের ঈদে পর্যটকশূন্য আর নিঃস্তব্ধতার সাথে সময় কাটাচ্ছে পর্যটন নগরী কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত। অন্যান্য বছরের ন্যায় নেই বাড়তি কোনো আয়োজন। প্রতিবছর ঈদুল ফিতরের ছুটিতে পর্যটন শহর কক্সবাজার থাকে লোকে লোকারণ্য। লাখো পর্যটকের ভিড়ে এসময় কক্সবাজার হয়ে উঠত ভরপুর । কিন্তু করােনা ভাইরাস সবকিছু নিঃস্তব্ধ করে দিয়েছে । ফলে পর্যটন স্পটগুলােতে নেই কোনাে কোলাহল । নিরব নিঃস্তব্ধ এসব পর্যটন কেন্দ্রগুলাের অবস্থা । করােনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের শুরু থেকেই পর্যটকদের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন । সৈকত এলাকায় স্থানীয়দের পর্যটন স্পটগুলােতে বেড়াতে না যেতে নেওয়া হয়েছে পুলিশের বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা ।
অন্যান্য বছরের এই দিনে পর্যটকদের ভরপুরতার কারণে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসনসহ আইন শৃঙ্খলা বাহিনী পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমশিম খেয়ে উঠে। এই বিপুল সংখ্যক পর্যটকদের স্বাগত জানাতে হোটেল রেস্তোরাঁ গুলো পবিত্র রমজান মাস থেকেই প্রস্তুতি নিয়ে থাকত। কিন্তু এবার ঈদুল ফিতরের ছুটিতে কক্সবাজারে কোন পর্যটক আসেনাই। তাই হোটেল-মোটেল, রেস্তোরাঁ, রেস্টহাউজ, গেষ্টহাউজ গুলোর গেইট বন্ধ, জ্বলছেনা বাতিও।
দীর্ঘদিন যাবত করােনা ভাইরাসজনিত কারণে পর্যটকদের উপর নিষেধাজ্ঞা জারির করার ফলে ক্ষতির মুখে পর্যটক নির্ভর ব্যবসায়ীরা । পর্যটক নির্ভরতার মধ্য দিয়ে দিন অতিবাহিত হত ব্যবসায়িদের পারিবারিক পথ চলা। অনেক ব্যবসায়ির একমাত্র উপার্জনের মধ্যম ছিল তাদের এই ছোট্ট ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গুলো। আয় রােজগার চলতাে দৈনিক বিভিন্ন হকার ব্যবসা করে । পর্যটক শূন্য হওয়াতে বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রগুলােতে নেই দেশি বিদেশি পর্যটকদের ভিড় । চলছে নীরবতা নিঃস্তব্ধতা ।
তবে আশা করছি একসময় আবারাে ফিরে আসবে সেই দেশি বিদেশি পর্যটকদের সমাগমের চিত্র । ঘটবে প্রাণের সম্মিলন । এমনটাই প্রত্যাশা পর্যটন ব্যবসায়ীদের ।
সম্পাদক ও প্রকাশক: রফিকুল ইসলাম
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা-১৩১০