সৌরভ, মাদারীপুর :
গ্রুপ পরিবর্তন করে নিজের লালিত স্বপ্নটাকে ভেংগে তছনছ করছেন না তো?
ধরা যাক, আপনি এসএসসিতে বিজ্ঞান গ্রুপ থেকে পাশ করেছেন,কিন্তু এখন একাদশে ওঠে ফ্যামিলির চাপে কিংবা আর্থিক সংকটে পড়ে গ্রুপ পরিবর্তন করবেন না। যদি গ্রুপ পরিবর্তন করেন তবে স্বপ্নটা ৮০% এখানেই শেষ।
যদি চেইঞ্জ করতেই হয় তাহলে কেনো মাধ্যমিকে নিয়েছেন পছন্দের গ্রুপটি?
এইসব পরিবর্তন অতি আবেগী থেকে হয়ে থাকে বিশেষ করে গ্রাম অঞ্চলের শিক্ষার্থীদের বেলায় সেটা বেশি লক্ষণীয় ।
যদি উচ্চ মাধ্যমিকে গ্রুপ পরিবর্তন করতে হয় তাহলে কেনো আপনি এসএসসিতে বিজ্ঞান নিছেন?
আবেগ বশত মাধ্যমিকের অনেক শিক্ষক ভবিষৎ কথা চিন্তা করে সাইন্স নেওয়ার উদ্যোগ নেয় শিক্ষার্থীদের কিন্তু উনি কি জানেন ভবিষৎ A To z টিকে থাকতে পারবে?
শিক্ষার্থীদের বলবো সব জায়গায় ফুটাংগিরি চলে পড়ালেখা ক্ষেত্রে না; কষ্ট হলে যে গ্রুপটি নিয়েছেন সেইটা নিন। নিজের গ্রুপ টি নিয়ে আরো জানুন একদিন কাজে লাগবে।
বাই দিয়ে ওয়ে সর্বদা সরকারী কলেজের দিক চোখ রাখুন কারন অনেকের সারা বছর সার্টিফিকেট বেসরকারী প্রতিষ্ঠান থেকে পড়ালেখা করেছেন এখন একটু বিসিএস ক্যাডার টিচার দ্বারা ক্লাস করবেন ভবিষৎ ক্যারিয়ার গঠন করা চেষ্টা করবেন।
একটা ভালো মানের সরকারী কলেজ কিংবা বিশ্ববিদ্যালয় সেই প্রতিষ্ঠানের ক্যাম্পাস দ্বারা শিক্ষাঙ্গন আপনাকে ভবিষৎ আরো উজ্জ্বাবিত করবে এবং কাংক্ষিত স্বপ্নকে টার্গেট পূরণ করতে সহায়তা করবে।
পড়ালেখা হচ্ছে সব নিজের মধ্য মনে রাখবেন আপনি যেখানে ভর্তি হোন না কেনো পড়ালেখা না করলে ঐ প্রতিষ্ঠানের ভ্যালু নাই।
ইন্টারমিডিয়েট জীবনটা বিসিএস, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কিংবা বুয়েট অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ন ভুমিকা পালন করে এখানে বুজে শুনে ভর্তি হোন ভালো মানের পয়েন্ট থাকলে অথ্যাৎ জিপিএ-৫ উচ্চমানের কলেজ চয়েজ করুন। আপনার জিপিএ এসএসসি ৪.৫০ নিচে হয় বিজ্ঞান গ্রুপে থেকে তাহলে বুজবেন ভ্যালুলেজ খুবই কম ভবিষৎ অনেক মেধাবী শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে প্রতিযোগীতা বা ভর্তি যুদ্ধে হেরে যাবেন যদি এই রকম পরিস্থিতি পোহাতে বলবো নতুন সিদ্ধান্ত নিন।
পূর্বের বছর গুলো বিশেষ করে ২০০২ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত জিপিএ ৪.৫০ নিচে বা সমান ভ্যালু ছিলো অনেক। এরপর জিপিএ-৫ সংখ্যা বাড়ার সাথে সাথে এটাও হারিয়ে গেছে। কাংক্ষিত কলেজ বা গ্রুপ সাবজেক্ট আশা পূরণ না হলে এখন থেকে শ্রমিক বা গৃহিনী হয়ে পড়ুন। তবুও বসে বসে জীবনটা শেষ করবেন না।