ঢাকাশুক্রবার , ১ নভেম্বর ২০২৪
  1. সর্বশেষ

একজন প্রভোস্টের আকুতিঃ স্বপ্নের মডেল নোবিপ্রবি

প্রতিবেদক
নিউজ এডিটর
২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ৪:০৭ অপরাহ্ণ

Link Copied!

🖊প্রাধ্যক্ষ আব্দুল মালেক উকিল

সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (নোবিপ্রবি) আত্মার আত্মীয় হয়ে উঠছে। মনে পড়ছে আমার প্রিয়তমা স্ত্রীর সেই বিশেষ উক্তি, ‘ফিরোজ তুমি কার! যখন যেখানে তার’। আসলে এটাই হয়তো আমাদের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য। যেকোনো দায়িত্ব ঘাড়ে চেপে বসলে সেটা শেষ না করা পর্যন্ত অস্বস্তিতে থাকি। কেবল আমি নই, আমাদের বেশিরভাগ শিক্ষকের মধ্যে এই বিশেষ গুণাবলী থাকার কারণে পেশাটাকে খুব উপভোগ করছি।

মাস দুয়েক হলো আমি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মালেক উকিল হলের প্রভোস্টের দায়িত্ব পেয়েছি। এরই মাঝে এ হলে অবস্থানরত সকল পর্যায়ের ছাত্রীদেরকে ‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব’ হলে স্থানান্তর করা হয়েছে। দুইটি হলের সহকারী প্রভোস্ট ও সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সার্বিক সহযোগিতায় প্রক্রিয়াটি সুচারুরূপে সম্পন্ন হয়েছে। সবকিছু মোটামুটি ঠিকঠাক ছিল। নতুন আবাসিক হলে উঠতে পেরে ছাত্রীরা বেজায় খুশি। কষ্টে আছি কেবল আমি।

আমার কষ্টের কারণ সবাইকে খুশি করতে না পারার ব্যর্থতা। বিভাগের অ্যাকাডেমিক কার্যক্রমে বিঘ্ন ঘটায় আমি সিটের আবেদন নিয়ে আসা ছাত্রীদেরকে প্রায়ই আমার বিভাগীয় অফিসে আসতে নিষেধ করতাম। অবাক হয়ে লক্ষ্য করেছি, ছাত্রীরা কেউ কেউ পাঁচ-সাত বার পর্যন্ত আমার সঙ্গে দেখা করতে এসেছে। শহরের মেসে বসবাসরত ছাত্রীরা ইভটিজিং, চোরের উপদ্রব, পানি ও আর্থিক সমস্যাসহ নানা বিষয় আমাকে জানিয়েছে। শেষদিকে ছাত্রীদের সিট চাহিদার আকুতির কাছে আমার প্রশাসনিক আদেশ ম্লান হয়ে গেছে। আমার ব্যক্তিগত শারীরিক অসুস্থতা সত্ত্বেও আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করে অতি দ্রুততার সঙ্গে স্বচ্ছভাবে ছাত্রীদেরকে বঙ্গমাতা হলে স্থানান্তর করেছি।

বঙ্গমাতা হলে সর্বোচ্চসংখ্যক অর্থাৎ প্রায় ছয় শতাধিক ছাত্রীর সিটের ব্যবস্থার পর শহরের মেসে অবস্থানরত ছাত্রীদের নতুন ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। বেশকিছু ছাত্রী মেস ছেড়ে দেবার কারণে অনেকেই একা হয়ে গেছে। এ সকল ছাত্রীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে এবং আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হবার সম্ভাবনা আছে। আসলে মেসে অবস্থানকারী ছাত্রীদের আবাসন কেন্দ্রিক এক নতুন ধরনের জটিলতা তৈরি হয়েছে। আমি আসলে এদের কথা ভেবে অস্বস্তিতে পড়েছি।

এখন কথা হলো- সমস্যাটা কি সমাধান যোগ্য? অবশ্যই, যদি বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সবাই একটু উদারতা নিয়ে অপরের প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেই। বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে যতদূর জানতে পেরেছি, আগামী ছয় মাসের মধ্যে বঙ্গবন্ধু হলের সকল কাজ সম্পন্ন করে ছাত্রীদের আবাসন ব্যবস্থা করা হবে। সেক্ষেত্রে বিবি খাদিজা হল ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা হল প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতায় দুইটি হলে অবস্থানরত ছাত্রীদের আন্তরিক সম্মতিতে আমরা সর্বোচ্চসংখ্যক ছাত্রীদের পরবর্তী ছয় মাসের জন্য ডাবলিংয়ের ব্যবস্থা করতে পারি।

বিগত কয়েকটি ভর্তি পরীক্ষায় নোবিপ্রবি ও নোয়াখালীর আপামর জনতা আপ্যায়ন ও আন্তরিকতার অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। এবার মেসে অবস্থানরত ছাত্রীদের ক্যাম্পাসে থাকার ব্যবস্থা করে আমরা আরেকটি বিরল ঘটনা জাতিকে উপহার দিতে পারি। স্বপ্নের নোবিপ্রবি হোক উচ্চশিক্ষার রোল মডেল।

লেখক :
চেয়ারম্যান,অণুজীববিজ্ঞান বিভাগ,
প্রাধ্যক্ষ আব্দুল মালেক উকিল হল,
নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়

(লেখকের ফেসবুক আইডি থেকে সংগৃহীত)
—জোভান আহমেদ নাঈম

212 Views

আরও পড়ুন

সানজিদা ইসলামের কবিতা ‘৫ আগস্ট’

রাণীনগরে থানায় অভিযোগ দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে বাদীসহ পাঁচজনকে পিটিয়ে আহত

ইসলামপুরে ডাসকো ফাউন্ডেশনের অবহিতকরণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত 

মাদারগঞ্জ উপজেলা যুবদলের আহবায়ক আহসান উল্লাহ বুলবুল আর নেই 

মাসিক সম্মানিত ভাতায় বিলাসবহুল গাড়ী বাড়ির মালিক ইউপি চেয়ারম্যান !

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো- ভাইস চ্যান্সেলর  হলেন ঢাবি অধ্যাপক ড. গোলাম রব্বানী

এশিয়াটিক সোসাইটি জাদুঘরের ৬ষ্ঠ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

পুরাতন ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে “নতুন ইতিহাসের সন্ধান”

ইনানী বীচে অবৈধভাবে নির্মিত ভেঙ্গে পড়া জেটি সম্পূর্ণ উচ্ছেদ করার দাবীতে মানববন্ধন

বিশ্ব শিশু দিবস ও শিশু অধিকার সপ্তাহ ২০২৪ উপলক্ষে
মুলাদিতে জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে রচনা প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত

রাজশাহী মহানগরীর ভদ্রার মোড়ে বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে শিশুর মৃত্যু।

অধ্যক্ষকে পেটানোর অভিযোগ অস্বীকার করলেন বিএনপি নেতা