-----------------------
প্রতি বছর ঈদুল ফিতর এবং ঈদুল আজহা, এই দুই ঈদেই প্রিন্ট পত্রিকা, অনলাইন নিউজ পোর্টাল সহ বিভিন্ন ছোট কাগজগুলো ঈদসংখ্যা প্রকাশ করে থাকেন। ঈদ সংখ্যা নিয়ে লেখক এবং পাঠকদের মধ্যে একটা আগ্রহ থাকে। আনন্দ থাকে। প্রত্যাশা থাকে। আলোচনা সমালোচনা থাকে।
যারা নিয়মিত লেখালেখি করেন, তারা চান তাদের একটা হলেও লেখা ঈদ সংখ্যায় প্রকাশিত হোক। এক শ্রেণির লেখকদের কাছে ঈদসংখ্যার গুরুত্ব ভীষণ! সবার কাছে গুরুত্বপূর্ণ নয়! এ নিয়ে অনেক যুক্তিতর্ক আছে। ভবিষ্যতেও থাকবে। তবুও ঈদসংখ্যা হোক। কিন্তু দুঃখের বিষয় হচ্ছে, দিনদিন ঈদসংখ্যা গুরুত্ব হারাচ্ছে। পাঠকের আগ্রহ নেই। সংগ্রহ করার আনন্দ নেই। নেই কোন প্রত্যাশা। তবুও কেউ কেউ সংগ্রহ করেন। আমিও ৪/৫ টা পত্রিকার ঈদসংখ্যা সংগ্রহ করি। পড়ি।
মাঝেমধ্যে মনে হয় এত মানহীন লেখা কিভাবে প্রকাশিত হয়...!
সাহিত্য নিয়ে অত চর্চা বা জ্ঞান আমার বেশি একটা নেই। অবসরে সামান্য লেখালেখি করি। বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকার সাহিত্য পাতাগুলো নিয়মিত পড়া হয়। সে হিসেবে টুকটাক জানি- শুনি-দেখি...! আগেরকার সময় ঈদ সংখ্যায় সত্যিকারের লেখকরা লিখতেন।
গুনীজনের লেখায় ঝলমলে থাকতো ঈদসংখ্যা। এখন তা চোখে পড়ার মতো নয়!
দারুণ সব লেখা পড়ার সুযোগ হতো আমাদের। এখনো মানসম্মত লেখা ছাপানো হয় তবে অপ্রতুল!
এখন নাম মাত্র লেখকরা লিখেন। সবাই না। এখানে সম্পাদকের একটা দায়বদ্ধতা আছে। অনেকেই তা যথাযথভাবে পালন করেন না। চাইলেও অনেক সময় সম্ভব হয় না। ম্যাক্সিমাম সম্পাদকদের নিদিষ্ট একটা বলয় থাকে, কাছের মানুষজন থাকে। তাদের থেকে লেখা নিতে হয়।
নিতে বাধ্য হয়। আমাদের এই বাধ্য হওয়া থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। স্বাধীন হতে হবে। সাহিত্যকে মুক্ত করতে হলে মুক্তি দিতে হবে অনেক কিছু।
যদি-ও সময় সাপেক্ষ। তবুও ভালো কিছু হোক। আমাদের সাহিত্য প্রাণ নিয়ে বাঁচুক। লেখালেখির মাধ্যমে সম্পাদক এবং সাহিত্য পাড়ার মানুষের সাথে কথা হয়,গল্প হয়। সম্পর্ক তৈরি হয়। এবারের ঈদসংখ্যায় প্রিন্ট পত্রিকার দু'জন সাহিত্য সম্পাদক আমার থেকে লেখা চেয়েছেন। তারা আমার কাছের মানুষ। আমি তাদের শ্রদ্ধা করি,সন্মান করি। কিন্তু আমি লেখা দেইনি। কৌশলে এড়িয়ে গেছি। আমি এখনো নতুন। শিখছি মাত্র। অনেক কিছু বাকি...! তবুও এসব ভালোবাসা আমাকে বাঁচিয়ে রাখে,সাহস দেয়। সবশেষে বলতে চাই, সাহিত্যকে নিদিষ্ট কোন বলয়ে সীমাবদ্ধ করা উচিত নয়। মুক্তি দিতে হবে। মুক্তি...!
লেখকঃ হাসান মাহমুদ শুভ
মেডিকেল শিক্ষার্থী & তরুণ লেখক।
সম্পাদক ও প্রকাশক: রফিকুল ইসলাম
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা-১৩১০