———-
দৃষ্টিতে কি আসে যায়, যদি দৃষ্টিভঙ্গি না পাল্টায়! কেউ কার্যের শুরুতে অন্যের চরণ দেখে অশুভ ভেবে কর্ম করা ছেড়ে দেয়। আবার কেউ বলে, “চরণ যা চলতে শেখায়”, এই নীতিতে কর্ম করা শুরু করে দেয়। যে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে সে পথে পরে থাকা হাজার টাকা ও স্পর্শ করে না। আর যে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না সে সতর্ক যুক্ত রাজার সিন্ধুকে ও হাত লাগায়। এটা হল ব্যক্তিত্ব চক্র। যার যেমন সে তেমনটাই করে।
তবে নিজের মৃত্যুর জন্য নদীর জলকে দায়ী না করে নিজের দুর্বলতা(সাঁতার) কে দায়ী করা উচিত ।প্রতিকূলতা প্রকৃতির নিয়ম মাত্র। কিন্তু অনুকুলতা ব্যক্তির ব্যক্তিত্ব হওয়া উচিত।
আমরা অনেককেই গুরুত্ব দেই না। অথচ আমাদের কেউ গুরুত্ব না দিলে আমরা কষ্ট পাই, তাকে খারাপ ভাবি ।কিন্তু নিজেকে খারাপ ভাবি না। আমরা অন্যের খারাপ গুণগুলোকে ধরতে অভ্যস্ত, নিজেদের গুলোকে নয় ।অন্যের খারাপ গুণগুলোর সমালোচনা না করে ভালো গুণগুলোর প্রশংসা করা উচিত।আর নিজের ভালো গুণগুলোর প্রশংসা না করে খারাপ গুন গুলোর সমালোচনা করা উচিত।
আপনারা হাজার বার বলাতেও চাঁদ আপনার কাছে আসবে না, কিন্তু আপনি যদি চেষ্টা করেন তাহলে অবশ্যই চাঁদের কাছে যেতে পারবেন ।অর্থাৎ অন্যকে পরিবর্তন করার ক্ষমতা আমাদের কাছে নেই কিন্তু আমরা নিজেকে পরিবর্তন করতে পারি। দেশকে পরিবর্তন করতে হলে দেশের মানুষকে পরিবর্তন করা আবশ্যক। আর দেশের সর্বপ্রথম মানুষ হলেন আপনি।
তাই নিজেকে পরিবর্তন করুন। দেশ পরিবর্তিত হবে , এগিয়ে যাবে দেশের মানুষ আর পরিবর্তিত হবে মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি!
———–
সীমান্ত চক্রবর্তী
কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর।