ঢাকামঙ্গলবার , ২১ জানুয়ারী ২০২৫
  1. সর্বশেষ

অভিভাবকের অজান্তে সন্তানের হাতে অনলাইন ড্রাগস!

প্রতিবেদক
নিউজ এডিটর
২ ডিসেম্বর ২০২২, ৫:১৭ অপরাহ্ণ

Link Copied!

সামিল হোসেন :

একটা সময় ছিলো গ্রামের মাঠেঘাটে শিশু-কিশোররা মেতে থাকত বিভিন্ন খেলাধুলায়। বিকাল বেলা কেটে যেত ফুটবল ও ক্রিকেটসহ ভিন্ন ভিন্ন খেলাধুলায়।

আজ দিন বদল হয়েছে প্রযুক্তির ছোঁয়ায়। তবে প্রযুক্তির ছোঁয়ায় দিন বদল হলেও প্রযুক্তির অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহার আমাদের জন্য অভিশাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এখন আর বিকাল বেলা শিশু-কিশোরদের মাঠে খেলতে দেখা যায় না। দেখা মিলে তাদের বাড়ির কোনোয় বা রাস্তাঘাটের এক স্থানে বসে মগ্ন থাকে ভিডিও গেমস খেলায়।

খেলাধুলা বা গেমস শব্দটার সাথে জুড়ে আছে বিনোদন, উচ্ছ্বাস । আর এই বিনোদনের জন্য আমরা অনেক কিছু করে থাকি। যেমন নাটক বা মুভি দেখা, আড্ডা-গল্প, ফেসবুকিং আরোও অনেক কিছু । কিন্তু বর্তমান সময়ে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে অনলাইন গেমস। বিশেষ করে এর হারটা বেড়ে গেছে গত দুবছর যাবত।

বর্তমানে কিশোর-কিশোরী থেকে শুরু করে সমাজের প্রায় প্রতিটা মানুষের হাতেই স্মার্টফোন। হবেই না কেন ডিজিটাল বিশ্বে নিজেকে প্রযুক্তির সাথে টিকিয়ে রাখতে স্মার্টফোনই যথেষ্ট। আর এই প্রযুক্তির দৌড়ে কোন অভিভাবক চাইবে তার শিশুকে পিছিয়ে রাখতে। শিশুদের শিখতে ও শিখাতে অভিভাবকরা নিজ হাতেই তুলে দিচ্ছেন স্মার্টফোন।

তবে এই স্মার্টফোন তাদের যতটা স্মার্ট করে তুলছে তার চেয়ে দ্বিগুণ করছে নেশাগ্রস্ত। অভিভাবকদের অজান্তেই শিশুরা পা রাখছে অনলাইন গেইমস নামের নেশার জগতে। বুঝে- না বুঝে মগ্ন হচ্ছে তারা অনলাইন গেইমস প্রতি। আর যখন তারা গেইমসের প্রতি পুরোপুরি মগ্ন হয়ে পড়ে তখন দেখা দেয় তাদের আচরণের পরিবর্তন। তখন তাদের হাতে মোবাইল না দিলে চিৎকার-চেঁচামেচি করে, উচ্চৈঃস্বরে কথা বলে, রাগ দেখানো এবং অন্যান্য কাজে খুব বেশি মনোযোগ দিতে চায় না। গেম খেলতে না দেওয়া কিংবা এমবি কেনার টাকা না দেওয়ায় আত্মহত্যার মতো ঘটনাও ঘটছে আমাদের দেশে। ফলে বলাই যায় নিজ অজান্তেই অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের হাতে তুলে দিচ্ছেন এসব অনলাইন ভিডিও গেইমস নামক নেশা।

শিশু-কিশোরদের মানসিক বিকাশে শরীরচর্চা ও খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কিন্তু বর্তমানে শিশুরা খেলাধুলা থেকে সরে গিয়ে অনেকটাই মোবাইল ফোনে ভিডিও গেমসের দিকে বেশি ঝুঁকছে। এতে করে শারীরিক ও মানসিক উভয়ই দিকেই মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে। বর্তমানে যেভাবে শিশু-কিশোররা অতিরিক্ত ভিডিও গেমে আসক্ত হয়ে পড়ছে, যা অশনিসংকেত হিসেবে দেখছেন বিশেষজ্ঞরা।

ইতিমধ্যেই এসব গেইমসের ভয়াবহতার কথা বিবেচনা করে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত, নেপাল, জাপান, ইরানসহ আরো অনেক দেশ এসব অনলাইন গেম নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। দুঃখের বিষয় হলেও সত্য বাংলাদেশে এ নিয়ে অনেক আলোচনা-সমালোচনা হলেও অদৃশ্য কারণে বন্ধ করা যায়নি। তরুণ প্রজন্মকে আসক্তি থেকে মুক্ত করতে না পারলে এক ভয়ংকর পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হবে। মনে রাখতে হবে আমাদের এখন ক্ষত ছোট, ওষুধ দিলে সেরে যাবে, কিন্তু ক্ষত বড় হলে তা সারানো কঠিন হয়ে পড়বে।

তাছাড়া অভিভাবকদের আরো সচেতন হওয়া দরকার। সন্তানদের অনলাইন দুনিয়ায় মানবিক ও সুস্থ বিনোদনের উপায়গুলোর সঙ্গে পরিচয় করে দেওয়া। তাদের বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তোলা। ধর্মীয় বা নৈতিক শিক্ষার অগ্রহী করে তোলা। মাঠে গিয়ে খেলাধুলার ব্যবস্থা করা। তরুণ প্রজন্মকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে মাদকাসক্তিকে না বলার মতো অনলাইন গেমের প্রতি তরুণদের আসক্তিকেও না বলা, তবেই সোনার বাংলায় ফলবে সোনার ফসল।


সামিল হোসেন
গণমাধ্যমকর্মী, সিলেট।

236 Views

আরও পড়ুন

মানবতার উন্মেষ ফাউন্ডেশনের “শীতবস্ত্র বিতরণ কর্মসূচি-২০২৫” সম্পন্ন

কক্সবাজারে মিনি ঠিকাদার কল্যাণ সমিতির কমিটি গঠিত

সুনামগঞ্জ আইনজীবী সমিতির নির্বাচন সম্পন্ন, সভাপতি আব্দুল হক -সাধারণ সম্পাদক উজ্জ্বল

সুনামগঞ্জে গ্রাম ভিত্তিক ভিডিপি মৌলিক প্রশিক্ষণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান

জয়কলস রশিদিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের শতবর্ষ পূর্তি উদযাপনে মদনপুর পয়েন্টে মতবিনিময় সভা

সেন্টমার্টিনে শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করলেন বিজিবি রিজিয়ন কমান্ডার

সরকার পতনের দীর্ঘদিন পরেও পরিবর্তন হয়নি বুটেক্সের শেখ হাসিনা হলের নাম

প্রতিহিংসা নয়, সুস্থ প্রতিযোগিতা হোক

অনুপমা আজিজের কবিতা “পীড়ন”

সুনামগঞ্জে ইয়ুথ এন্ডিং হাঙ্গার ও দি হাঙ্গার প্রজেক্টের আয়োজনে সংলাপ অনুষ্ঠিত

দৈনিক সংগ্রাম এর শান্তিগঞ্জ প্রতিনিধি মনোনীত হলেন মান্নার মিয়া

ইসলামী শ্রমনীতিই নির্যাতিত বঞ্চিত শ্রমিকের অধিকার নিশ্চিত করতে পারবে–নুর আহমেদ আনোয়ারী