এবারের নির্বাচনে মোটর সাইকেল ব্যবহারে নির্বাচন কমিশনের বিধি নিষেধ আছে কীনা? তবে কেন লালমনিরহাটের পাটগ্রাম পৌর নিবার্চনে সাংবাদিকদের মোটর সাইকেল ব্যবহারের অনুমতি দেয়া হচ্ছেনা? নির্বাচনে সরকারের সকল প্রশাসন ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহীনির কাছে সাংবাদিকদের পেশাগত দায়িত্বপালনকালে নিরাপত্তা প্রদানের দাবি জানাচ্ছে বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম।
নির্বাচনকালে যেকোন ধরনের সাংবাদিক নির্যাতন ও হয়রাণীর বিরুদ্ধে আগের চেয়ে বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের সদস্যরা সোচ্চার রয়েছে। সাংবাদিকরা যেকোন নির্যাতন প্রতিরোধ করবে।
মনে রাখতে হবে, ইতিমধ্যে অনুষ্ঠিত বেশ কটি পৌর নির্বাচনের ফলাফল নির্বাচন কমিশন প্রকাশিত সংবাদের কারনে বাতিল কিংবা স্থগিতের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। অতএব সাংবাদিক নির্যাতন -হয়রাণীকে না বলি…।
শুধু ভোট কেন্দ্রে নয়; আমরা প্রতিজ্ঞা করি কখনোই সাংবাদিক নির্যাতন করবোনা। আমরা দেশ- রাষ্ট্রকে ভালোবাসি। আর সাংবাদিকরাতো রাষ্ট্রের কথাই বলে। তবে আর নির্যাতন নয়। তাদেরকে ভালোবাসা দিতে শিখি।
জানেনতো, আপনার ট্টাক্সের টাকায় দেশের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীর বেতন মেলে। আপনার টাকায় কিন্তু সাংবাদিকরা চলেনা। বরং দূর্ণীতিবাজদের বিরুদ্ধে সাংবাদিকের লেখনীতে সরকারের রাজস্ব বাড়ে। সাংবাদিকদের সম্মানী ভাতা দেয়া উচিত।
নির্বাচনকালে সরকারের পক্ষ থেকে যথেষ্ট নিরাপত্তার জন্য বলা হলেও সরকার বিরোধী একশ্রেনীর লোক মনগড়া সিস্টেমে সাংবাদিকদের হয়রাণী, নির্যাতনে উস্কানী দিচ্ছেন। তাদের উদ্দেশ্যে আমরা বলতে চাই সাংবাদিকের প্রতি বিরুপ আচরণ নয়, তাদেরকে পেশাগত দায়িত্ব পালনে সুযোগ দিন।
স্বাধীনতার সুবর্ন জয়ন্তীকালেও নির্যাতন-হয়রাণীতে সাংবাদিকরা অতীষ্ট হয়ে উঠছে। অতীতে ভোটকেন্দ্রে সাংবাদিকের ওপর পুলিশের গুলি, মারপিট, প্রার্থী সমর্থকদের নগ্ন হামলায় গোটা সাংবাদিক সমাজ মুখ ফিরিয়ে নেয়ার কথা।
কিন্তু দেশ মাতৃকার টানে সাংবাদিকরা বারংবার ফিরে আসেন। তাইতো নির্বাচন কমিশনের সকল প্রস্তুতি শেষে সাংবাদিকদের গভীর রাত পর্যন্ত ভোট কেন্দ্রে যাবার পাসের জন্য ধর্ণা দিতে হয় এই টেবিলে ওই টেবিলে। এথেকে সাংবাদিকদের পরিত্রান নিতে হবে।
সময় এসেছে জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশকে আমরা তার স্বপ্নের সোনারবাংলা প্রতিষ্ঠা করবোই। আর এজন্য সরকারের কাছে কোন প্রকল্প কিংবা টাকা পয়সা সাংবাদিকরা চাইবেনা। সরকারের কাছে শুধু নির্যাতন বন্ধে সাংবাদিক সুরক্ষা আইন চায়।
আসুন, সাংবাদিক নির্যাতন বন্ধে আপনিও দাবি তুলুন। বঙ্গবন্ধুর বাংলায় সাংবাদিক নির্যাতন আর নয়। সাংবাদিক নির্যাতন যেখানে রুখবো আমরা একসাথে।
লেখক: আহমেদ আবু জাফর, প্রতিষ্ঠাতা ও সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম- বিএমএসএফ, কেন্দ্রীয় কমিটি ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১ খ্রী।