ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় রাজনীতির আতুরঘর, পাঠশালা। এখানে প্রত্যেকটি হল আলাদা আলাদা একেকটি রাজনীতির নিউক্লিয়াস। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বুকে ধারণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি নেতা-কর্মী নিঃস্বার্থভাবে বঙ্গবন্ধুর নিজ হাতে গড়া উপমহাদেশের অন্যতম বৃহৎ ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগের রাজনীতি করে।

আগে আমরা ছাত্র তারপর লীগ। জাতির জনকের কন্যা, আমাদের সাংগঠনিক নেত্রী, আমাদের আবেগের জায়গা জননেত্রী শেখ হাসিনা সবসময় সেটিতেই বেশি জোর দিয়ে থাকেন। আমরা প্রত্যেকটি নেতা-কর্মী সেভাবেই রাজনীতি করেছি, করে চলেছি। কিছু কিছু জায়গায় আমাদের প্রত্যাশা থাকে, চাওয়া থাকে যেগুলো সবসময় পূরণ করেন আমাদের নেত্রীসহ রাজনৈতিক অভিভাবকগণ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যেকটি নেতা-কর্মীর এখন অন্যতম একটা চাওয়া বা প্রত্যাশা হলের সাংগঠনিক কার্যক্রম আরো বেশি গতিশীল করতে দ্রুত হল কমিটি করে দেয়া।

প্রায় প্রত্যেকটি হলেই ক্যান্ডিডেট এর সংখ্যাটা ১০ জনেরও অধিক। কিন্তু নিয়মের বেড়াজালে আবদ্ধ হতে গিয়ে সেখান থেকে নেতা হবে দুইজন। পরিশ্রম, সময়, ডেডিকেশন, সংগঠনের প্রতি আবেগ, ভালবাসা কিন্তু রয়েছে প্রত্যেকটি ক্যান্ডিডেটেরই। আরেকটি ব্যাপার সেটি হল, ম্যাক্সিমাম ক্যান্ডিডেট ছেলেমেয়েই মাস্টার্স কমপ্লিট করা বা মাস্টার্সে অধ্যয়নরত।

পড়াশোনার এই ধাপটাতে ছেলেমেয়েরা তাদের ক্যারিয়ার নিয়ে চিন্তা করবে(রাজনীতিটাই যাদের একমাত্র ক্যারিয়ার তারা ব্যতীত), পড়াশোনার পাঠ চুকিয়ে চাকরিতে ঢুকবে এটাই স্বাভাবিক। ১০ জন ক্যান্ডিডেট এর মধ্যে দুইজন নেতা হলে বাকি ৮ জনের অধিকাংশই পড়াশোনায় মন দিয়ে একটা চাকরির জন্য চেষ্ঠা করবে। এই চেষ্ঠাটুকু করার সময়টাও চলে যাচ্ছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হিসেবে আমাদের কাছে পরিবার, আত্নীয়স্বজন তথা সমাজেরও একটা প্রত্যাশা থাকে। সেই প্রত্যাশাটুকু পূরণ করতেও মেবি দ্রুত হল কমিটি হওয়া প্রয়োজন।

রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে রাজনীতির নিউক্লিয়াসখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়ের হল পর্যায়ের কমিটিগুলোর কোনই বিকল্প নেই। মুজিববর্ষকে সামনে রেখে নতুন নেতৃত্ব এনে সংগঠনকে আরেকটু চাঙ্গা করে তুলতে হল কমিটির প্রয়োজনবোধ করছি। বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক হিসেবে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের একজন কর্মী হিসেবে ছাত্রলীগের চার নেতার প্রতি আমার আবেদন আপনারা দ্রুত হল কমিটি দেয়ার ব্যবস্থা করুন। ছাত্রলীগের সাংগঠনিক কার্যক্রম আরো বেশি জাকজমক, গতিশীল করতে আরেকটি ধাপ এগিয়ে নেয়ার ব্যবস্থা করুন।

জয়তু ছাত্রলীগ
জয়তু দেশরত্ন শেখ হাসিনা

ইসতিয়াক আহমেদ হৃদয়,
অর্থ বিষয়ক উপসম্পাদক,
বাংলাদেশ ছাত্রলীগ,
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।