–জিয়া হাবীব আহসান, এডভোকেট :
করোনা ভাইরাস আতংকের নগরীতে পরিণত হয়েছে প্রিয় চট্টলা। চট্টগ্রামের বহু বরেণ্য আইনযোদ্ধারা ইতিমধ্যে আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন। অনেকে আইসিইউতে আবার অনেকে চরম শ্বা:সকষ্টে বাসা বাড়ীতে ভুগছেন। করোনা চিকিৎসার অন্যতম প্রধান উপায় রোগের কারণ নির্ণয়।করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের শিকার হয়েছেন কিনা তা নিশ্চিত হতে পরীক্ষা ও ফলাফল অন্যতম ভূমিকা পালন করে। আমাদের প্রবীণ আইনজীবী মরহুম এড. কবীর চৌধুরী স্যারের ছেলের স্ট্যাটাস থেকে দেখি চিকিৎসা নয় শুধু টেস্ট করতে তাদের কত ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে। এড.কাসেম ভাই করোনা সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়ার অাগেই চলে গেলেন করোনা সন্দেহে বিনা চিকিৎসায়।
তাই একজন আইনজীবী পরিবারের সন্তান হিসেবে ঐতিহ্যবাহী আইনজীবী সমিতির নেতৃবৃন্দের কাছে অনতিবিলম্বে আইনজীবীদের জন্য চট্টগ্রাম বারের কোন সুবিধাজনক স্হানে অথবা অন্য যে কোন স্থানে অালাদা নমুনা বুথ স্হাপনের দাবী জানাচ্ছি। সুপ্রিম কোর্ট টেস্ট বুথ চালু করেছে। সম্ভব হলে একই সাথে কোন হাসপাতালের সাথে বার থেকে চুক্তি বা MoU করুন বারের মেম্বারদের চিকিৎসার জন্য। বারের নেতৃত্ববৃন্দ বা এক্সিকিউটিভ বডি অবশ্যই এই ব্যবস্থা নিতে পারেন জরুরী মিটিং ডেকে। আমরা আমাদের কোন বিজ্ঞ সদস্যকে আর অকালে হারাতে চাই না। যা করার তা দ্রুত করতে হবে। কোভিড যতদিন থাকবে এর সাথে যুদ্ধ করেই আমাদের থাকতে হবে।
ইতিমধ্যে সাংবাদিক বন্ধূ দের জন্য, পুলিশের জন্য পৃথক পৃথক করোনা টেষ্ট বুথ স্থাপন করা হয়েছে। বিজ্ঞ আইনযোদ্ধারা ও তাদের পরিবারের সদস্যরা প্রয়োজনে স্বল্প ব্যয়ে করোনা টেষ্টের বিশেষ সুবিধা পেলে এ দূ:সময়ে জীবন মরণ যুদ্ধে বিরাট মানবিক সহায়তা ও শক্তি পাবেন। কারন বর্তমান অবনতিশীল পরিস্থিতিতে টাকার বিনিময়েও করোনা টেষ্ট এর সুযোগ পাচ্ছে না মানুষ। সদয় বিবেচনার অনুরোধ জানাই।সরকার পেশাজীবীদের জন্য নিজ নিজ সমিতির মাধ্যমে করোনা টেষ্টিং বুথ খুলতে সিদ্ধান্ত দিলে সরকারী ব্যাবস্থায় সাধারন মানুষের চিকিৎসা সেবার সুবিধা আরো বৃদ্ধি পাবে এবং পেশাজীবীরাও সহজে করোনা সংক্রম সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পারবেন।