আরিফ পাটোয়ারী
বৈশ্বিক মহামারী করোনা ভাইরাসের কারণে প্রায় ৪ মাস ঘরবন্দী অবস্থায় রয়েছে মানুষ। যার ফলে প্রতিনিয়তই বৃদ্ধি পাচ্ছে সামাজিক অপরাধ।অফিস-আদালত কলকারখানা, দোকানপাট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সহ বন্ধ আছে সরকারি বেসরকারি অধিকাংশ প্রতিষ্ঠান। তাই কর্মক্ষম মানুষগুলো এখন কর্মহীন অবস্থায় বেকার ঘরে বসে আছেন। ভ্যাকসিন আবিস্কারের পূর্বে করোনা ভাইরাস থেকে মুক্তির উপায় হলো ঘরে অবস্থান করা। এছাড়া কোন গত্যন্তর নেই।
অপরদিকে ঘরে অবস্থানের ক্ষেত্রে মুদ্রার উল্টোপিঠটাও আছে। ঘরবন্দী মানুষের মধ্যে পারিবারিক কলহ, নারীনির্যাতন, ধর্ষণ, চুরি-ডাকাতিসহ হাজারো সামাজিক অপরাধে জড়িয়ে পড়েছেন অনেকেই। কথায় আছে “অলস মস্তিষ্ক শয়তানের বাসা”। দীর্ঘদিন কাজকর্ম না থাকায় আর্থিক সমস্যায় পড়ে অনেকেই এই অভাব থেকে বাঁচার জন্য নানা রকম অপরাধের সাথে জড়িত হয়ে যাচ্ছেন। বিশেষ করে যেসকল মানুষ মাদকের প্রতি বিশেষ ভাবে আসক্ত তারা মাদকের টাকা জোগান দিতে গ্রামের মানুষের হাঁস-মুরগী, গরু-ছাগল ফল, ফসল সহ রাতে মানুষ ঘরে ঢুকে চুরি করতেও এতটুকু কসুর করছেন না। বরং তা বিক্রি করে মাদক ক্রয় করছেন। এতে উদ্বিগ্ন গ্রামের সাধারণ মানুষ। তাছাড়া এই লকডাউনে বৃদ্ধি পেয়েছে ধর্ষণ, খুন, ঝগড়া, মারামারিসহ বহু সামাজিক অপরাধ।
আর্থিক অভাবের ফলে এসব অপরাধ সংগঠিত হচ্ছে বলে ধারণা করছেন সমাজকর্মীগণ। তবে শহর তুলনায় গ্রামে এসব সামাজিক অপরাধ বেশি হচ্ছে বলে দাবি করেন তারা। গরু-ছাগল, হাঁস-মুরগি ফল ফসল ইত্যাদি বেশি চুরি হচ্ছে বলে দাবি করেন কৃষকগণ। কৃষকের ভাষ্য মতে গ্রামের বখাটে এবং মাদকাসক্ত ছেলেরা এসব চুরি-ডাকাতি করে সাথে বেশি জড়িয়ে পড়ছে।