———————
ছয় বছর পূর্বে যেদিন তোমার চোখে প্রথম চোখ রেখেছিলাম। সেদিনই তুমি আমার হৃদয়ের গহীনে স্থান করে নিয়েছিলে। কিন্ত দীর্ঘ ছয় বছরের সাধনার পরও আমি তোমার হৃদয়ে এতটুকু স্থান করে নিতে পারিনি এ আমার চরম ব্যর্থতা। কত যাতনা, কত বিষাদ, কত বেদনা আমি লালন করেছি এই বছরগুলোতে। অশান্ত মনকে সান্তনা দিয়েছি তোমার কল্পনায়। বারবার বলতে গিয়ে গুটিয়ে নিয়েছি নিজেকে। মুখ ফুটে বলতে পারিনি একটিবার। পাছে তোমাকে হারাতে হয় সেই ভয়ে।
তুমি কি একবারও শুনতে পারনি আমার মনের গহীনের কথাগুলো বাতাসে কান পেতে! বুঝতে পারনি আমার চাওয়া পাওয়া! এ আমি বিশ্বাস করিনা।
কেন আমি তোমায় এত কাছে পেতে চাইতাম। কেন দূরে সরে যেতে চেয়ে কাছে এসেছিলাম। একবারও ভাবনি সে কথা! নাকি সব জেনেশুনে দিলে এই ব্যাথা? আমার ব্যাথার হয়তো কোন মূল্য নেই তোমার কাছে। কিন্ত তোমার সুখের অনেক মূল্য আছে আমার কাছে। আমার সকল অশ্রুজল তোমার সুখের তরে উৎসর্গ করলাম। এতেই আমার আনন্দ। আমি তো তোমাকে সুখী করতেই চেয়েছিলাম। দূরে সরে গিয়ে যদি সুখী হতে পারো তবে তাই হোক। না পাওয়ার শোকে পুড়ে আমি নাহয় দেবদাস হবো। প্রেমের সার্থকতা বিচ্ছেদেই। এ আমার জানা ছিলনা। লাইলি-মজনু, শিরি-ফরহাদ আর দেবদাস-পার্বতীর গল্পগুলো অবাস্তব ভাবতাম। নিছক কবির কল্পনা মনে করতাম।
আজ মনে হচ্ছে এসব মিথ্যে নয় বরং মহাসত্য।
দেবদাসের নেশার গেলাস ছিল, মজনু অমৃত পান করে চিরবিদায় জানিয়েছিল। আমার ওসবের কিছুই নেই। আমি শুধু জানি তুমি আমার ছিলে, আমার আছো, আমার থাকবে। দূরে সরে যেতে চেয়ে কাছে চলে আসবে। স্বপ্নের জাল বুনে কাটিয়ে দেব এজীবন। তুমি সুখী হও রুকু আমি সুখী নই।
এমআর সাদিক
রাজনগর, মৌলভীবাজার