বৈশ্বিক মহামারিতে রূপ নেওয়া নভেল করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) মহেশখালীতে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ১০ জন, সুখবর হচ্ছে এখনো কেউ মারা যায়নি৷। মহেশখালীতে এই ভাইরাসটি ‘কমিউনিটি ট্রান্সমিশন’ শুরু হওয়ার পথে৷ কালারমারছড়ার নয়াপাড়ার করোনা আক্রান্ত পান ব্যবসায়ী রিদুয়ানের স্ত্রী আরজু বেগম করোনা আক্রান্ত হওয়ার মধ্য দিয়ে কমিউনিটি ট্রান্সমিশনের পথে আমরা৷
এই মুহুর্তে মহেশখালীবাসীর জন্য সর্বোচ্চ সতর্কতা ও সচেতনতায় পারে এই কমিউনিটি ট্রান্সমিশন রোধ করে করোনার প্রকোপ রোধ করতে৷
প্রথমে প্রবাস থেকে আসা লোকজন,পরবর্তিতে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল যেমন ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ,চট্রগ্রাম সহ বাহির থেকে আগতদের বিভিন্ন ইউনিয়নে গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করে মহেশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল টিম কক্সবাজার মেডিকেল কলেজে প্রেরন করে পরীক্ষা করে আসছিলেন, তাতে বহিরাগতদের মধ্যে ০৯জন করোনা পজেটিভ হলেও এতদিন কমিউনিটি ট্রান্সমিশন তথা লোকাল কমিউনিটিতে করোনা আক্রান্ত ছিলনা৷ আর এই কমিউনিটি ট্রান্সমিশন শুরু হওয়ার পথে বহিরাগত পান ব্যবসায়ী রিদুয়ানের স্ত্রী আরজু বেগম আক্রান্ত হওয়ার মধ্য দিয়ে৷আরজু বেগমের সোর্স অব ইনফেকশন’ আমরা শনাক্ত করতে পারি খুব সহজে তার স্বামী রিদুয়ানের কল্যানে৷আমরা সচেতন না হলে এই সুযোগটা আমরা হারাব৷এখনো করোনা নিয়ন্ত্রন আমাদের আয়ত্তের মধ্যে আছে৷ সেজন্য করোনা আক্রান্ত ১০জন রোগী গত ১৪ দিন কারো সাথে মিশছে কিনা, মিশে থাকলে তথ্য গোপন না করে দ্রুত সময়ে তাদের নমূনা প্রদান করা ও ১৪দিন কোয়ারান্টাইন নিশ্চিত করার মাধ্যমে মহেশখালীর করোনা পরিস্থিতি কমিউনিটি ট্রান্সমিশন রোধ করা সম্ভব৷ এক্ষেত্রে জনগণকে আরো বেশী সচেতন হতে হবে৷ আক্রান্ত ব্যক্তিরা কারো সংস্পর্শে এসে থাকলে গোপন করা যাবেনা, বহিরাগত প্রবেশে কঠোর হতে হবে এবং বহিরাগত প্রবেশ হলেও প্রশাসনকে তথ্য দিয়ে সহযোগীতা করতে হবে৷
গুরুত্বপুর্ন হচ্ছে লবন ও পান চাষীদের জন্য দ্রুত সময়ে বিকল্প ব্যবস্থা করে বহিরাগত পান ও লবন ব্যবসায়ী প্রবেশ বন্ধ করা এবং লবন ও পান নিয়ে বাইরে যাওয়া বন্ধ করে আপাতত লবন ও পানচাষীদের প্রনোদনা প্রদান করা অথবা উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে বিকল্প ব্যবস্থায় পান ও লবন বিক্রির ব্যবস্থা করা৷ লবন ও পান নিয়ে মহেশখালীর বাইরে যাওয়া অথবা লবনও পান কিনতে বাহির থেকে ব্যবসায়ীরা মহেশখালী প্রবেশ করাও করোনা ভাইরাস বিস্তারের অন্যতম মাধ্যম হতে পারে৷
প্রশাসনের পাশাপাশি জনগণ সচেতন না হলে কমিউনিটি ট্রান্সমিশন রোধ করা অসম্ভব৷ তাই আসুন নিজে বাচঁতে,পরিবারকে বাঁচাতে,এলাকার জনসাধরনকে বাঁচাতে আমরা সচেতন হই৷তথ্য গোপন নয়, প্রশাসনকে সঠিক তথ্য দিয়ে সহযোগীতা করি
লেখক- মনির বিন সোলতান
স্বাস্থ্য সহকারী
মহেশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স
সম্পাদক ও প্রকাশক: রফিকুল ইসলাম
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা-১৩১০