আরিফ ইকবাল নূর :
ঔষুধ কোম্পানির ট্যবলেট বা ক্যাপশুল এর পাতায় মূল্য লেখা থাকে না। প্রেসক্রিপশন যখন কোন ফার্মেসিতে দেওয়া হয় তখন প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী ঔষধগুলো নেওয়া হয় কিন্তু সাধারণ জনগণ কোন ঔষধের মূল্য কত টাকা এটা আর জানতে পারে না। ঔষধের পাতায় মূল্য না থাকার কারণে সাধারণ জনগণ ঔষধের মূল্য বুঝতে পারে না, তাই বিক্রেতারা তাদের ইচ্ছেমত দাম নিয়ে নেয়। ঔষুধ ফার্মেসির কিছু অসাধু বিক্রেতারা সামনে ক্যালকুলেটর মেশিন নিয়ে বসে থাকে আর ইচ্ছে মত মূল্য ধরিয়ে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে নেওয়া হয় মোটা অংকের টাকা।
কিছুদিন আগে ঝিনাইদহ শহরের একটি ফার্মেসিতে দরিদ্র রিকশাচালক সিরাজ উদ্দিন তার সিজারিয়ান স্ত্রীর জন্য রিকশা বিক্রি করে ওষুধ কিনতে ফার্মেসিতে যায়। কিন্তু সে কোন ওষুধের কত দাম তা তো সঠিক জানে না। তার থেকে ১৫ টাকার ওষুধের দাম নিয়েছে ৬০০ টাকা। ঔষধের পাতায় মূল্য না থাকার কারণে ক্রেতা ও রোগীদের কাছ থেকে ইচ্ছামতো বিভিন্ন ওষুধের দাম নিচ্ছে ফার্মেসি মালিকরা।
তাই এর দ্রুত প্রতিকার চেয়ে যথাযথ কতৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, যেন প্রতিটি ঔষধের পাতায় মূল্য সংযোজন করা হয় যাতে করে সাধারণ জনগণ ঔষধের দাম সম্পর্কে জানতে পারে এবং অসাধু ব্যবসায়ীদের হাতে থেকে রক্ষা পায়।
আরিফ ইকবাল নূর
শিক্ষার্থী : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।