মোঃ নাজিম উদ্দিন, দক্ষিণ চট্টগ্রাম প্রতিনিধি:
চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় পাওনা টাকার জের ধরে ১৩ মাসের এক শিশুকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। শিশুটির নাম এমরান হোসেন সামি। সেই সুঁইপুরার দুবাই প্রবাসী মোঃ মামুন ও রিমা আক্তার দম্পতির ছেলে।
গত বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার চরতী ইউনিয়নের সুঁইপুরা ভনাঘোনা নতুন পাড়া এলাকায় এঘটনা ঘটে। সাতকানিয়া থানা পুলিশ এ ঘটনায় শিশুটির আপন চাচা নুরুল আবছার মানিক (৩০), তার স্ত্রী মারুফা আক্তার (২০) গ্রেপ্তার করেছে।
শিশুটি মা রিমা আক্তার বলেন, আমার স্বামী ৭ মস আগে দুবাই যাওয়ার সময় তার ছোট ভাই মানিকের কাছ থেকে লাভের উপর এক লক্ষ টাকা নেয়। সে টাকার কিছু লাভও দেবরকে দেওয়া হয়েছে। দুবাই যাওয়ার কয়েক মাস পর স্বামী সেখানে পুলিশের হাতে ধরা পড়লে আমরা কষ্টের মধ্যে পড়ে যায়। বুধবার বিকালে আমার ছেলে এমরানকে তার দাদীর কাছে রেখে আমি পার্শ্ববর্তী বিলে গরুর জন্য খড় আনতে যায়। সন্ধ্যার আগে বাড়িতে এসে দেখি আমার ছেলে নেই। আমার চিৎকারে প্রতিবেশী লোকজনসহ এসে চারেদিকে ছেলেকে খুঁজতে থাকি। খুঁজাখোঁজির এক পর্যায়ে রাতে বাড়ির পূর্বে নলকূপের পাশে মাটি চাপা অবস্থায় আমার ছেলের
মৃত দেহ উদ্ধার করা হয়। তারা স্বামী-স্ত্রী পাওনা টাকার জন্য আমার ছেলেকে গলা টিপে মেরে মাটি চাপা দিয়েছে। আমি তাদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। চরতী ৯নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আব্দুর রশিদ জানান, মামুনের কাছ থেকে টাকা পাবে তাঁর ছোট ভাই মানিক। সেই টাকা নিয়ে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়েছিল। এর জের ধরেই নিষ্পাপ একাটি শিশুকে মেরে ফেলে হয়েছে।
সাতকানিয়া থানার ওসি (তদন্ত) আবুল কালাম আজাদ বলেন, টাকার হিসাব নিয়ে দু’ভাইয়ের মধ্যে বিরোধ ছিল। এর জের ধরে বুধবার শিশুটির মা বাড়ির বাইরে গেলে এই ফাঁকে মহিলা ও তাঁর স্বামী মিলে শ্বাসরোধ করে মেরে শপিং ব্যাগে ভরে মাটিতে পুঁতে ফেলে। খবর পেয়ে রাতে পুলিশ গিয়ে শিশুটির লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করে। এঘটনায় শিশুটির মা বাদী হয়ে দেবর মানিক ও তাঁর স্ত্রী মারুফা আক্তারকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে আসামিদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।