সাত্তার সিকদার,বিশেষ প্রতিনিধি (চট্টগ্রাম)
সম্প্রতি চট্টগ্রামের লোহাগাড়া চুনতিতে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় ১৬জন থেকে একমাত্র প্রাণে বেঁচে যাওয়া সাইফুলের পাশে মানবিক সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে দিলেন লোহাগাড়া উপজেলা বিআরডিবি’র চেয়ারম্যান ও লোহাগাড়া ডায়াবেটিক জেনারেল হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা মোঃ অারমান বাবু রোমেল।
জানা যায় অাহত সাইফুল দীর্ঘ ১মাস চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিল। দীর্ঘ ১মাস চিকিৎসার পরও তার শারীরিক অবস্থার কোন উন্নতি না দেখে আজ ২১শে এপ্রিল (মঙ্গলবার) তাকে গ্রামের বাড়িতে নিয়ে আসেন তার পরিবারের সদস্যরা। গ্রামে এনে সন্ধ্যায় লোহাগাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কম্প্লেক্সে নিয়ে গেলে হাসপাতাল কর্তব্যরত চিকিৎসক তার শারীরিক অবস্থা অাশঙ্কাজনক দেখে ভর্তি না করে বাড়ীতে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন।
বাড়ীতে নেওয়ার পথে অারো একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে তার শারীরিক অবস্থা অাশঙ্কাজনক দেখে সেখানেও তাকে রিসিভ করেনি।
পরে অসহায় অবস্থায় অাহত সাইফুলের পরিবারের লোকজন তাকে বাড়ীতে এনে কান্নাঁকাটি করতে থাকেন, এমন অবস্থায় স্থানীয় একজন সংবাদকর্মী খবর পেয়ে বিষয়টি সমাজসেবক আরমান বাবুকে অবহিত করলে, সে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে আসতে বলেন। তাতক্ষণিক লোহাগাড়া ডায়াবেটিক জেনারেল হাসপাতালে এনে ভর্তি করে অক্সিজেন দিয়ে দ্রুত চিকিৎসা শুরু করেন। বর্তমানে তার চিকিৎসা চলমান রয়েছে।
সমাজসেবক অারমান বাবু বলেন, এইটা তো করোনা রোগী নয়, এইটা এক্সিডেন্ট রোগী, তার দেহে যতক্ষণ প্রাণ অাছে একজন মানুষ হিসেবে তার চিকিৎসা চালিয়ে যেতে হবে। তিনি খবর পেয়ে দ্রুত তার বাড়ীতে গাড়ী পাঠিয়ে তাকে তার নিজস্ব হাসপাতালে এনে চিকিৎসা শুরু করেছেন। তিনি সবার কাছে অনুরোধ করেছেন বর্তমান পরিস্থিতিতে এই ধরনের কোন রোগী হাসপাতালে গেলে করোনা রোগী মনে না করে চিকিৎসা সেবা দিয়ে রোগীর পাশে দাড়ানোর ।
উল্লেখ্য: সম্প্রতি চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের লোহাগাড়ার চুনতি এলাকায় গত ২১মার্চ রাতে ঘটে যাওয়া ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা ছিল ১৫ জন, গুরতর অাহত অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (২৮) নং ওয়ার্ডের (১৩) নং সিটে দীর্ঘ ১মাস চিকিৎসাধীন ছিল সাইফুল।
অাহত সাইফুলের বাড়ী লোহাগাড়া সদর ইউনিয়নের টেন্ডল পাড়ায়। সাইফুলের সংসারে ৩ছেলে ১মেয়ে রয়েছে।