

ঢাকা–৮ আসনে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এনসিপির (জাতীয় নাগরিক পার্টি) মনোনয়ন প্রত্যাশা করে আলোচনায় এসেছেন এক সাধারণ রিক্সা চালক—সুজন। পেশায় রিক্সাচালক হলেও, সমাজের বঞ্চিত মানুষের হয়ে কথা বলাই তাঁর রাজনীতিতে আসার প্রধান প্রেরণা।
সুজন বলেন,“অনেকে এতিমের টাকা মেরে, যাত্রাপালা করে সংসদে যেতে পারলে আমি মানুষের অধিকার, সত্য কথা বলতে সংসদে যেতে পারব না কেন?”
তিনি জানান, প্রতিদিন রাস্তায় ঘুরে ঘুরে মানুষের দুঃখ–কষ্ট দেখেন। সাধারণ মানুষের ভোগান্তি, দুর্নীতি, অসহায়ত্ব—সবকিছু তাকে ভাবায়। তাই এবার তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, জনপ্রতিনিধি হয়ে দরিদ্র, শ্রমজীবী ও উপেক্ষিত মানুষের অধিকার নিয়ে সংসদে কথা বলবেন।
রাজনীতি বা অর্থনৈতিক শক্তি তাঁর নেই—স্বীকার করেও সুজন বলেন,“আমার কাছেও কোটি টাকার ব্যানার নেই, বড় বড় নেতার আশীর্বাদও নেই। আছে শুধু মানুষের ভালোবাসা আর সৎ থাকার সাহস।”
স্থানীয় বিভিন্ন এলাকায় সুজনের এই সিদ্ধান্তকে ইতিবাচকভাবে দেখছেন অনেকেই। তাদের দাবি, সাধারণ মানুষের প্রতিনিধি হতে হলে সাধারণ মানুষের মধ্য থেকেই কেউ উঠে আসা উচিত।
এনসিপির স্থানীয় নেতারাও জানিয়েছেন, দল গণমানুষের প্রতিনিধিত্বে বিশ্বাসী। যোগ্য ও সৎ ব্যক্তি হলে রিক্সাচালক হলেও মনোনয়ন বিবেচনা করা হবে।
মানুষের অধিকার, ন্যায়বিচার ও দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গড়ার স্বপ্ন নিয়ে সুজন এখন ঘুরে বেড়াচ্ছেন ঢাকা–৮ এর অলিগলি। তাঁর বক্তব্য—“আমি ভোট চাই নিজের জন্য নয়, যারা কথা বলতে পারে না, তাদের জন্য।”
রাজনীতিতে এক রিক্সাচালকের এমন দৃঢ় আত্মবিশ্বাস ও নতুন ধারা স্থানীয় রাজনীতিতে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
সম্পাদক ও প্রকাশক: রফিকুল ইসলাম
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা-১৩১০