আজিজুল হক আজু, উপকূলীয় প্রতিনিধি:
বাংলাদেশ সরকারের বৃহৎ মেগা প্রকল্প মহেশখালী,মাতারবাড়ী কয়লাবিদ্যুৎ প্রকল্প। এই প্রকল্প ঘিরে চলছে বর্তমান সরকারের নানা উন্নয়নমূখী কাজ।
এতে নির্মিত হচ্ছে সর্ববৃহৎ বন্দর(মাতারবাড়ী বন্দর)নামে পরিচিতি লাভ করেছে এই বন্দরটি পুরো বিশ্বে।
মাতারবাড়ী ইউনিয়ন একটি দ্বীপ, চারদিকে সাগরঘেরা এই দ্বীপে বসবাস করেন ৮০ হাজারেও বেশি মানুষ।
এসব মানুষের একমাত্র আয়ের উৎস লবন চাষ,চিংড়ি ঘের,মাছ শিকার।
২০১৪ সালে এই দ্বীপের মানুষের মাঝে আসে এক অভিশপ্ত বার্তা। বার্তায় বলা হয়,এই জায়গায় বাংলাদেশ সরকারের মহা পরিকল্পনা রয়েছে, নির্মিত হবে একটি ১২শ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন কয়লাবিদ্যুৎ প্রকল্প, পাশাপাশি আরো কিছু প্রকল্প করা হবে তার মধ্যে রয়েছে গভীর সমুদ্র বন্দর।
এই বার্তা শুনাতে প্রতিবাদে এলাকায় উঠেছিল মানববন্ধনের ঢেউ, বিষয়টি পরিকল্পনাকারী সরকার দলের কাছে পৌঁছালে দেওয়া হয় আশাজাগানিয়া সংবাদ। পর্যাপ্ত পরিমাণ টাকা দেওয়া হবে, স্থানীয়দের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। স্থানীয় কোন লোকজন বেকার থাকবে না। এমনটা আশ্বস্ত করে ছিলেন, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ অবধি কাজের কাজ কিছুই হলোনা, কথায় কেবল কথাই রয়ে গেলো। অসহায় স্থানীয় ছিন্নমূল মানুষ, বেকারত্ব অভিশাপ নিয়ে দিন পার করছে ছাত্র-যুব সমাজ।
যা ক’জনকে চাকরি দেওয়া হয়েছিল, তাদেরও দফায় দফায় অকারণে চাকরিচ্যুত করার অভিযোগ অহরহ।
এদিকে রাত-দিন সমানতালে বাহির থেকে শ্রমিক আমদানি হচ্ছে অথচ মাতারবাড়ীর মানুষ না খেয়ে মরছে।
সম্প্রতি কতিপয় সিন্ডিকেট স্থানীয়দের বাদ দিয়ে বহিরাগতদের এনে বিভিন্ন কোম্পানিতে নিয়োগের চেস্টাকালে স্থানীয় যুবকদের প্রতিরোধের তুপে পড়েন। বহিরাগত এসব শ্রমিকদের কাছ থেকে জিজ্ঞেসাবাদ করা হলে তারা কয়েকটি সিন্ডিকেট এর নাম বলেন।
১•আজম এন্টারপ্রাইজ
২•দেলোয়ার এন্টারপ্রাইজ
এ ব্যাপারে হতাশাগ্রস্থ, চাকুরীচ্যুত বেকার যুবকরা স্থানীয় ও জাতীয় নেতৃবৃন্দের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
শীগ্রই চাকুরীহারা বেকার যুবকদেরকে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে প্রকল্পে চাকুরী দিতে হবে। নচেৎ বঞ্চিত এসব বেকার যুবকরা
আন্দোলনের ডাক দেবে। সেই সাথে তারা চলমান ইলেকশনে যারা জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হওয়ার স্বপ্ন দেখেন তাদের পক্ষ থেকেও নির্বাচনী ইশতেহার চায়।
অন্যথায় ভোটে তার নিরব প্রতিবাদ হবে বলেও অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করেন।।