নিজস্ব প্রতিবেদকঃ মহেশখালীর উপজেলার মাতারবাড়ী স্থানীয় পুরান বাজারের ওয়ার্কশপ সংলগ্ন ট্রান্সমিটার বিকল হওয়ায়, ৫ দিন ধরে বিদ্যুৎ বন্ধ রয়েছে উক্ত এলাকার শতাধিক পরিবার সহ অর্ধশতাধিক দোকানে।
মাতারবাড়ী বিদ্যুৎ অফিসের বিভিন্ন অজুহাতে হয়রানিতে রয়েছে এই শতাধিক পরিবার সহ অর্ধ শতাধিক দোকানদার।
স্থানীয়রা জানান, মাতারবাড়ীতে গত ২৫ তারিখ থেকে ভারী বর্ষণের ফলে বিদ্যুৎ নেই। মাতারবাড়ী ইনচার্জকে অবগত করলে তিনি এসে চেক করে বলেন ট্রান্সফরমার বিকল হয়েছে এবং তা পরিবর্তন করতে হবে। ২/৩ দিন বিদুৎ অফিসে আসা যাওয়া করি এ ব্যাপারে। তাঁরা জানায় মহেশখালী থেকে অফিসাররা আসবেন, কিন্তু কল করলে বলেন অফিসাররা এসে চলে গেছেন। এধরণের আরো অসংখ্য অজুহাত দিতে থাকে স্থানীয়দের।
এদিকে গত ২১ তারিখ মুসলিম উম্মাহর বড় ধর্মীয় উৎসব কোরবানির ঈদের পর স্থানীয় শতাধিক পরিবার গুলো লকডাউনের কারণে আত্মীয়স্বজনের কাছে কোরবানির মাংস পাঠাতে না পারায় ফ্রীজে সংরক্ষণ করছে অন্তত অর্ধ-শতাধিক পরিবার। ট্রান্সফরমার ঠিক না হওয়ার ফলে বিদ্যুৎ না আসায় তা নষ্ট হয়ে যাবে এবং অন্তত ৪/৫ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা প্রকাশ করেন স্থানীয়রা।
উক্ত ট্রান্সমিটার থেকে বিদ্যুৎ না পাওয়ার ফলে জরুরী পণ্যের অন্তত ২০ দোকানও বন্ধ রয়েছে। তাঁরা, তাঁদের ব্যবসার ক্ষয়ক্ষতিরও আশঙ্কা প্রকাশ করেন। ব্যবসায়ীরা জানায়, বৃষ্টি বাদলের দিন যেহেতু সারাদিন চারিদিক অন্ধকার থাকে। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী সকাল ৬ টা থেকে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত জরুরি পণ্যের দোকান খোলা রাখার কথা রয়েছে। বিদ্যুৎ না পাওয়ায় আমরা আইপিএসও চার্জ দিতে পারছিনা পাশাপাশি দোকানও অন্ধকার। এই ৫ দিনের বেঁচাবিক্রিতে অন্তত কয়েক লাখ টাকা লস হয়েছে ২০/২৫ টি জরুরি পণ্যের দোকানে।
অতিদ্রুত তা সংস্কারের জন্য সংশ্লিষ্ট বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন স্থানীয়রা।
সম্পাদক ও প্রকাশক: রফিকুল ইসলাম
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা-১৩১০