এম.এ ওয়াহিদ :
দূর্গাপূজায় বিজয় দশমীর রাতে খুলনায় মদপানে নিহত ৯ জনের মধ্যে মাদক কর্মকর্তা মনোজিৎ কুমার বিশ্বাস (৫২) একজন। মনোজিৎ খুলনা মহানগরীর হাজী মহসিন রোডস্থ আর্জেন আলী বাইলেন এলাকার ধীরাজ বিশ্বাসের ছেলে। তার তাপস কুমার বিশ্বাস ও শ্রাবন্তি বিশ্বাস তিথি নামে দু’টি সন্তান রয়েছে।
তথ্য মতে, ২০১৮ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি নিজেরা মদ খেয়ে গাঁজাসহ গ্রেপ্তার দুই সন্দেহভাজনকে নিয়ে খুলনার বটিয়াঘাটা থানায় গিয়েছিলেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা (এসআই) মনোজিৎ কুমার বিশ্বাস। তার সঙ্গে ছিলেন গোয়েন্দা শাখার সেপাই মো. সেলিম ও সোর্স (তথ্যদাতা) সুশীল। থানায় তাদের মাতলামিতে সন্দেহ হয় পুলিশের। পরে পুলিশ তাদের আটক করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের খবর দেয়। কর্মকর্তারা তাদের সহকর্মীদের মুচলেকা দিয়ে ছাড়িয়ে আনলেও ওই সোর্সের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে পুলিশ।
এ ঘটনায় সাময়িক বরখাস্ত করা হয় মনোজিৎকে। পরবর্তীতে বিভাগীয় মামলায় ডিমোশন দিয়ে এসআই থেকে এএসআই করা হয়। তিনি গত আগস্টে যোগ দেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর নোয়াখালী জেলা কার্যালয়ে। খুলনার সেই মাদক কর্মকর্তা মনোজিৎ কুমার বিশ্বাস সর্বশেষ মদ পানেই মারা গেলেন।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর খুলনার উপ-পরিচালক মোঃ রাশেদুজ্জামান জানান, বিষাক্ত মদপানে মনোজিৎ নামে জনৈক ব্যক্তির মৃত্যুর খবর পান তিনি। কিন্তু পরবর্তীতে নিশ্চিত হন এই মনোজিৎ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর নোয়াখালী জেলা কার্যালয়ে এএসআই পদে কর্মরত ছিলেন। এর আগে গত বছর তিনি খুলনা কার্যালয়ে এসআই পদে কর্মরত ছিলেন। কিন্ত তার কর্মস্থল বর্তমানে খুলনায় না হওয়ায় এ বিষয়ে তিনি খুব একটা হস্তক্ষেপ করেননি, মৃতদেহ পরিবারের সদস্যরা নিয়ে গেছে- এ টুকুই।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর নোয়াখালী জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক (এডি) বিপ্লব মোদক গণমাধ্যমকে জানান, মনোজিৎ দুর্গাপূজা উপলক্ষে ৩ অক্টোবর তিনি ছুটিতে যান। পরে বিজয় দশমীর রাতে তার স্ত্রী ফোনে জানান, তিনি অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। বৃহস্পতিবার তিনি মারা গেছেন বলে জানতে পারেন। তবে, মাদক সেবনে তার মৃত্যু হয়েছে কিনা-সেটি নিশ্চিত না হলেও তার মৃতদেহের পোস্টমর্টেম করতে হয়েছে বলে তিনি শুনেছেন বলেও উল্লেখ করেন।
সম্পাদক ও প্রকাশক: রফিকুল ইসলাম
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা-১৩১০