বধ্যভূমির স্মৃতি
বিষ্টি সূত্রধর
জানি না কোন অচিনপুরে রয়েছো তোমরা বসে!
আজ নীল আকাশে উড়ছে নিশান, দ্যাখো বাইরে এসে।
আকাশে বাতাসে আজ উল্লাস বিজয়ের, দ্যাখো একবার চেয়ে!
দ্যাখো আজ ভাইয়েরা মোদের কতোটা খুশি বিজয়ের ছোঁয়া পেয়ে।
যে উল্লাস দেখবে বলে ছিলে তোমরা অপেক্ষায়
আজ কোথায় তোমরা? কেন তোমাদের দেখা নাহি পায়।
উফফ! তোমরা বুঝি আসবে না আর, খেলবে লুকোচুরি?
সত্যি করে বলো তো আমায়, তোমরা রয়েছো যে কোন পুরী।
থাকবো আবার কোন পুরীতে আমাদের বাংলা মাকে ছেড়ে।
রয়েছি আমরা সবার মাঝেই শত জনতার ভিড়ে।
সন্ধ্যা যে এবার চললো হতে, তোমরা ঘরে এসো ফিরে,
মা যে আমাদের অপেক্ষায় আছে, একলা বসে নীড়ে।
যাচ্ছো তোমরা কোথায় আবার, নির্জন ঐ পথ ধরে?
মা না তোমাদের করেছে মানা বের হতে সন্ধ্যার পরে।
যাবার বেলায় আর আমাদের পিছু নাহি ডেকো
মাকে মোদের যত্নে রেখে, সর্বদা সুখে থেকো।
যাচ্ছো কোথায় ভাইয়েরা আমার? লাগছে আমার ভয়,
না জানি কেন ভরছে মন অজানা আশঙ্কায়।
এ আর্তনাদ কিসের তবে, আসছে আমার কানে ভেসে
এ আমি কি দেখলাম মাগো, এইখানেতে বসে।
আমার ভাইয়ের নিথর দেহ, এই বদ্ধভূমির মাঝে!
আমি দু-চোখে যেন দেখছি আঁধার, এই জ্যোৎস্নার সাঁঝে।
মাগো ভাইদের আমার দেয়নি বাঁচতে শয়তানের ঐ দল!
কছম তোমার ছাড়বো না ওদের, তুমি ফেলো না চোখের জল।
ভাইদের রক্তের ঐ দাগ, যায়নি আজও মুছে
তাঁদের হারানোর এই তীব্র ব্যাথা যাবেনা কভু ঘুচে।
ভাইদের রক্তেই রঞ্জিত আজও বাংলার এই নিশান,
তাই ভাইদের ত্যাগের অসীম গাঁথা হবে না কভু ম্লান
সম্পাদক ও প্রকাশক: রফিকুল ইসলাম
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা-১৩১০