নিজেস্ব প্রতিনিধি :
উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে সাম্প্রতিক মর্মান্তিক বিমান দুর্ঘটনায় নিহত ও আহত শিক্ষার্থীদের স্মরণে দেশের বিভিন্ন স্থানে চলছে দোয়া মাহফিল, শোকসভা, ও প্রার্থনা। এ এক জাতীয় শোকের মুহূর্ত, যেখানে প্রতিটি বিবেকবান মানুষ ব্যথিত।
কিন্তু ঠিক এই সময়ে টঙ্গীর ৫০ নম্বর ওয়ার্ডের একটি মাজার প্রাঙ্গণে আয়োজন করা হয়েছে গানবাজনার অনুষ্ঠান। যা শুধু দুঃখজনকই নয়, সামাজিকভাবে প্রশ্নবিদ্ধও। বিশেষ করে উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন টঙ্গীর স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পাইলট স্কুল এন্ড গার্লস কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. হারুনর রশীদ। যিনি ভবিষ্যৎ প্রজন্ম গড়ার অন্যতম পথপ্রদর্শক!
এই ঘটনার প্রেক্ষিতে জনমনে দেখা দিয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া—কেউ বিস্মিত, কেউ ক্ষুব্ধ।
শোকের মুহূর্তে এমন অপ্রয়োজনীয় বিনোদনমূলক আয়োজন ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শীর্ষ ব্যক্তির সংশ্লিষ্টতা—নিঃসন্দেহে ভাবনার বিষয়।
গানের আড্ডায় উপস্থিত ছিলেন সেই স্কুলে আরেকজন শিক্ষক ও টঙ্গী পশ্চিম থানাধীন ৫৪ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আজিজুল হক রাজু মাষ্টার ও টঙ্গী পশ্চিম থানা তাঁতীদলের আহবায়ক সোহেল সিদ্দিকী।
এই ঘটনায় গতকাল রাত থেকে অনলাইন প্লাটফর্ম ফেসবুকে কয়েকজন দুঃখ প্রকাশ করে নানান মন্তব্য করেছেন।
তাঁতীদল নেতা সোহেল সিদ্দিকীর সাথে যোগাযোগ চেষ্টা করলে তাকে পাওয়া যায়নি।
রাজু মাষ্টার বলেন,৫০ বছরের ঐতিহ্য এই গানের আয়োজন। সেখানে আমার স্কুলের প্রধান ছিলেন উদ্বোধক। আমি আগে কখনো এসব গানে যাইনি এবারে প্রথম।
গানের আয়োজক সারোয়ার ফকির বলেন,প্রতি বছরের ন্যায় পূর্ব নির্ধারিত সময়ে এবারও এই গানের আয়োজন করা হয়। আমরা সেখানে খারাপ ও অশ্লীল কোন কিছু করি না। প্রতিটি গানেই দয়ালের নাম স্মরণ করা হয়।
এ বিষয়ে পাইলট স্কুল এন্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হারুনর রশীদ বলেন, আমি সেই অনুষ্ঠানের উদ্বোধক ছিলাম। উদ্বোধন করে কিছুক্ষণ থেকে চলে আসছি।
এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে টঙ্গী পশ্চিম থানা বিএনপির আহবায়ক প্রভাষক বশির উদ্দিন বলেন, মাইলস্টন স্কুল এন্ড কলেজে বিমান দুর্ঘটনায় যেখানে এতগুলো শিশু বাচ্চা নিহত হয়েছেন। সেখানে এটা মেনে নেওয়া যায় না।এই দুর্ঘটনায় সারা দেশের শোকের ছায়া সেখানে এরকম গান বাজনা দুঃখজনক।
এ বিষয়ে টঙ্গী পূর্ব থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ ফরিদুল ইসলাম বলেন, এই বিষয়ে আমার জানা নেই। গানবাজনার বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।