নিজস্ব প্রতিনিধি :
দোয়ারাবাজারে প্রেমের টানে সংসার ছাড়লেন হ্যাপী, বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে অনশন। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার সদর ইউনিয়নের বাজিতপুর গ্রামে। জানা যায় গত ৭ বছর পুর্বে বাজিতপুর গ্রামের আবু তাহিরের পুত্রের সাথে মান্নারগাঁও ইউনিয়নের জালালপুর গ্রামের মো.আব্দুল্লাহর মেয়ে হ্যাপী আক্তারের ইসলামি শরিয়াহ মতে বিয়ে হয় । বিয়ের বছর খানেক পরে তাদের সংসারে এক পুত্র সন্তানের জন্ম হয়। বর্তমানে ঐ সন্তানের বয়স ৬ বছর। জানাজায় গত দেড় বছর যাবৎ একই গ্রামের(বাজিপতপুর) মনির উদ্দিনের পুত্র আতিকুর রহমানের সাথে হ্যাপীর গোপনে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তাদের গোপন সম্পর্কেের বিষয়ে পরিবারের লোকজনের মধ্যে জানা জানি হয়ে গেলে হ্যাপী তার বাবার বাড়ি জালালপুরে গিয়ে গত দেড় বছর যাবৎ আটকা পড়েন। এরি মধ্যে গত রবিবার দুপুরে জালালপুর হ্যাপীর বাবার বাড়ি থেকে আতিকের হাত ধরে ঘর ছেড়ে এভিডেভিড এর মধ্যমে বিয়ে করার আশায় সুমানগঞ্জে যান হ্যাপী। সুনামগঞ্জে বিয়ের কাজ সম্পন্ন না করে হ্যাপীকে সু- কৌশলে আতিকের বাড়িতে নিয়ে আসেন। বাড়িতে আসারপর আতিকের পরিবারের লোকজন তাদের প্রেম সম্পর্ক মেনে না নিয়ে আতিককে বাড়ি থেকে সরিয়ে দেন। বর্তমানে (সোমবার) পর্যন্ত হ্যাপী আতিকের আশায় তার বাড়িতেই অবস্তান করছে। হ্যাপী বলেন,আমি আতিকের জন্য সংসার ছাড়ছি এখন আমি স্ত্রীর মর্যাদা চাই। আমি তারে ছাড়া বাচব না।
এব্যাপার আতিকের বড় ভাই হাবিবুর রহমান বলেন,আমার ভাইয়ের বিয়ের বয়স এখনও হয়নাই অযথা আমার ভাইকে ও আমাদের পরিবারের লোকজনদের হয়রানি করার জন্য বিয়ের দাবী করছে। এরি মধ্যে জালালপুর গ্রামের বর্তমান ইউপি সদস্যর মাধ্যমে মিমাংশার জন্য চেষ্টা করা হচ্ছে।
হ্যাপী বেগমের( স্বামীর) বড় ভাই আব্দুল কাদির জানান, আমার চোট ভাইয়ের সাথে গত ৭ বছর আগে হ্যাপীর সাথে বিয়ে হয়। এরই মধ্যে তাদের ৬ বছরের এক পুত্র সন্তানও রয়েছে। গত দুই বছর যাবত আমার ভাইয়ের সাথে প্রতারণা করে আমাদের গ্রামের আতিক নামের এক ছেলের সাথে অবৈধ প্রেম সম্পর্ক গড়ে তোলে হ্যাপী। এ নিয়া প্রায় সমই তাদের মধ্যে ঝগড়া বিবাদ লেগেই থাকত। গত দেড় বছর যাবৎ হ্যাপী বাবার বাড়িতে আটক আছেন। জানতে পাড়লাম বরিবারে আতিকের বাড়িতে আসছে।
সম্পাদক ও প্রকাশক: রফিকুল ইসলাম
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা-১৩১০