গত ২২ সেপ্টেম্বর"দৈনিক কক্সবাজার সহ কয়েকটি পত্রিকায় "চকরিয়ায় যুবলীগ নেতা কছিরের সম্পদের পাহাড়" শীর্ষক সংবাদটি আমার দৃষ্টি গোছর হয়েছে। উক্ত সংবাদে কে বা কারা একটা মনগড়া একতরফা ষড়যন্ত্র করে বিদ্ধোষ মুলক সংবাদ স্টাপ রিপোর্টার নাম দিয়ে প্রচার করছে যা ৯৫% মিথ্যা ও বানোয়াট।
মুলত আমার কিছু রাজনৈতিক ও বিরোধীয় শত্রুরা মিলে উক্ত মনগড়া সংবাদটি চাপানোর ব্যবস্থা করছে যা নিন্দনীয়। আসল বিষয় হল আমি দীর্ঘ প্রায় ১৫ বছর স্কুল,কলেজ থেকে শুরু করে ছাত্র রাজনীতির সাথে জড়িত থেকে সুনামের সহিত রাজনীতি করেছি এই সময়ে আমাদের দলের অনেকে পদবঞ্চিত হয়ে তখন থেকেই আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে আসতেছে,এর পর ছাত্ররাজনীতি শেষ করে সরাসরি কাউন্সিলের মাধ্যমে আমি যুবরাজনীতির দায়িত্ব নেওয়ার পর সংগঠন পরিচালা করি,কোন নেতাকর্মী কোনদিন বলতে পারবেনা কমিটির নাম বিক্রি করে কারও কাছে এক কাপ চা খেয়েছি বা একটা টাকা নিয়েছি,বরং নেতাকর্মীদের সুখে দুঃখে সব সময় সহযোগিতা করে পাশে থেকেছি। ব্যবসা বাণিজ্য করে সততার সহিত রাজনীতি করেছি, কারও সাথে অন্যায় অভিচার করনি সেটা নিজের দলের হওক বা অন্য দলের হওক।
আমার বাবার ব্যবসা বাণিজ্য ছিল,ছোট বেলা থেকেই আমারা দেখে আসছি আমাদের চিংড়ী ঘের মগবাজারে দোকান সহ ব্যবসা বাণিজ্য,আর আমরা বেশি না হলেও মোটামুটি জমিদার পরিবারের সন্তান। সেই সুবাদে আমি নিজে চিংড়ী ঘের,ঠিকাদারি ব্যবসার সাথে যুক্ত হই ২০০৩ সাল থেকে,চকরিয়াতে প্রায় ১শ মত ঠিকাদার আছে কোন ঠিকাদার বলতে পারবেনা কোনদিন টেন্ডার বাণিজ্য বা অবৈধ ভাবে কাজ নিয়েছি,তাছাড়া ২০০৮ সালের পর থেকে টেন্ডার বাণিজ্যের কোন সুযোগই নেই কারণ তখন থেকেই সব অনলাইনে লটারি বা বিট করার মাধ্যমে টেন্ডার হয়। লটারি বা বিট করার মাধ্যমে আমি আমার ফার্মে ঠিকাদারি করে প্রতি বছর সরকারকে টেক্স প্রদানের মাধ্যমে আয় রোজগার করেছি।
আমার নামে মনগড়া সম্পদের হিসাব দেখানো হয়েছে ডেমুশিয়া ২৭ কানি জমি ৫কোটি টাকার কিন্তু ডেমুশিয়াতে আমার ১ কড়া জায়গাও নাই,কোণাখালীতে অর্ধ শতক কানি জমি ৬ কোটি টাকার,তাও ১০০% মিথ্যা। বাস্তবে আমার চিরিংগাতে ১টা দোকান আছে ২৫ লাখ টাকার থানা সেন্টারে ফুসের ঘরের দোকান আছে যা মিলিয়ে ২৫ লাখ মত হবে,আর একটা রানিং বাড়ির কাজ চলমান,ইডেনপার্কের পাশে মাত্র ১৮ শতক জায়গা রয়েছে,এগুলোই হল আমার সম্পদ যা আইকর বিবরনীতে আছে। আমার নিজস্ব কোন গাড়ি নাই আর বিদ্যুৎ অফিসের পাশে কোন জমি নাই যা সংবাদে উল্লেখ করা হয়েছে। বরাং কক্সবাজার হাউজ বিল্ডিং ফাইন্যান্স করপোরেশন লিমিটেড এ আমার রানিং বাড়ির জন্য ৮০ লাখ টাকার লোন,এনসিসি ব্যাংক চকরিয়া শাখায় ৭৫ লাখ টাকার লোন সহ অন্যন্য ব্যাংক মিলিয়ে প্রায় ২ কোটির কাছাকাছি লোন আছে যা দিয়ে আমার ব্যবসার পাশাপাশি বাড়ির কাজ চলমান।
মুক্তিযোদ্ধার সন্তানের জায়গা দখলের যা বলা হয়েছে তাও মিথ্যা, মুলত জায়গাটি আমার শাশুরের, ওনার কোন ছেলে সন্তান না থাকার সুযোগে হাসিনা বেগম মুক্তিযোদ্ধা সন্তারের ক্ষমতা ব্যবহার করে জায়গাটি দখল করতে না পেরে আমার বিরুদ্ধে তখন বিভিন্ন জায়গায় দরখাস্ত দিয়েছিল যা তৎকালীন জেলা প্রশাসক, উপজেলা প্রশাসন,আদালতে স্থানীয় কাউন্সিলরের রিপোর্ট,এসপি সার্কেল এর রিপোর্টের মাধ্যমে মিথ্যা প্রমাণিত হইলেও সে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে আসতেছে,ইতিমধ্যে তার বিরুদ্ধে উক্ত জায়গা নিয়ে আদালতে মামলা চলমান এবং তার বিরুদ্ধে আদালতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।
অতএব সাংবাদিকরা হল জাতির বিবেক,যিনি মনগড়া একতরফা মিথ্যা সংবাদটি করেছেন তিনি আমার কাছে উক্ত বিষয়ে জানার চেষ্টাও করেনি, অদুর ভবিষৎতে এধরণের মিথ্যা মনগড়া সংবাদ করার আগে যাচাই বাচাই করে করার জন্য বিনীত অনুরোধ করছি, আমি উক্ত মিথ্যা মনগড়া ও বানোয়াট সংবাদের তিব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
প্রতিবাদকারী,
আলহাজ্ব কাউছার উদ্দিন কছির।
সম্পাদক ও প্রকাশক: রফিকুল ইসলাম
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা-১৩১০