
নুরুল ইসলাম সুমন
কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার বারবাকিয়া রেঞ্জের আওতাধীন পহরচাঁদা বিট এলাকার বরইতলী হাফালিয়া কাটা—লাল মিয়ার দোকানসংলগ্ন স্থানে সরকারি বনভূমি জবরদখলের অপচেষ্টার অভিযোগে অভিযান পরিচালনা করেছে বনবিভাগের যৌথবাহিনী।
গত ২৪ নভেম্বর (সোমবার) সকালে সেলিম মেস্ত্রী নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে বনবিভাগেরম জমিতে অবৈধভাবে বসতবাড়ি নির্মাণের চেষ্টা চালানোর অভিযোগ উঠলে বারবাকিয়া রেঞ্জ কার্যালয় তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা নেয়। খবর পেয়ে রেঞ্জের অধীনে থাকা বিভিন্ন বিটের কর্মকর্তারা যৌথভাবে অভিযানে অংশ নেন।
অভিযানে যা পাওয়া যায়
অভিযানকারী দল ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখে—জায়গাটিতে ইতোমধ্যে ঘরের মাচা ও দেয়ালের বেশকিছু কাঠামো নির্মাণ করা হয়েছে। অভিযানে যৌথবাহিনীর সদস্যরা এসব কাঠামো ভেঙে দেন এবং পুরো এলাকা দখলমুক্ত করে বনবিভাগের নিয়ন্ত্রণে ফিরিয়ে আনেন। উদ্ধার হওয়া জমিটির আনুমানিক বাজারমূল্য প্রায় কোটি টাকা বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র নিশ্চিত করেছে।
অভিযানের নেতৃত্ব ও উপস্থিতি
অভিযানে নেতৃত্ব দেন বারবাকিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা মোহাম্মদ খালেকুজ্জামান।
তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন—
পহরচাঁদা বিট কর্মকর্তা সারোয়ার হোসেন সাঈদী
বারবাকিয়া বিট কর্মকর্তা শাহজাহান সজিব
টৈটং বিট কর্মকর্তা এহসান হক
এছাড়া যৌথবাহিনীর আরও সদস্যরা অভিযানে সহায়তা করেন।
রেঞ্জ কর্মকর্তার বক্তব্য
রেঞ্জ কর্মকর্তা মোহাম্মদ খালেকুজ্জামান বলেন,
“বনভূমি রক্ষায় বনবিভাগ জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করছে। যে-ই সরকারি জমি দখলের চেষ্টা করবে, তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উদ্ধার করা জায়গা পুনরায় যেন কেউ দখল করতে না পারে, সে বিষয়ে নজরদারি আরও বাড়ানো হয়েছে।”
আইনগত ব্যবস্থা
বনবিভাগ সূত্রে জানা গেছে, সেলিম মেস্ত্রী নামের ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে বন আইনে মামলা প্রস্তুত করা হচ্ছে। একইসঙ্গে ভবিষ্যতে এ এলাকায় নজরদারি বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয়দের প্রতিক্রিয়া
স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে সুযোগ পেলেই কিছু ব্যক্তি বনভূমি দখলের জন্য তৎপর থাকে। এ ধরনের অভিযানের ফলে অবৈধ দখলকারীরা নিরুৎসাহিত হবে এবং বনভূমি সুরক্ষিত থাকবে।
সম্পাদক ও প্রকাশক: রফিকুল ইসলাম
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা-১৩১০