নিউজ ডেস্ক :
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পাশাপাশি নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের লক্ষ্যে জাতীয় ঐক্য চায় বিএনপি। এজন্য সমমনা সব গণতান্ত্রিক দলকে এক মঞ্চে আসার আহবান জানিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র নেতারা। সেইসঙ্গে নির্বাচনের পর গণতান্ত্রিক দল ও ব্যক্তিদের নিয়ে একটি জাতীয় সরকার গঠনের কথাও বলছেন তারা।
২০১৮ সালে সংসদ নির্বাচনের আগে ড. কামাল, ও বি চৌধুরী, আ স ম আব্দুর রব ও বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীসহ কয়েকটি রাজনৈতিক দল এবং ব্যক্তিদের নিয়ে গঠিত হয় ঐক্যফ্রন্ট। যদিও নির্বাচনের আগ মুহূর্তে সেই মঞ্চ ছাড়ে বদরুদোজ্জা চৌধুরীর বিকল্পধারা। তারপর সেই জোটের নাম হয় জাতীয় ঐক্য। কিন্তু নির্বাচনের পর সেই ঐক্য আর দৃশ্যমান ছিলো না।
২০২৩ সালের দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে একই রকম ঐক্য গড়ার কথা বলছে বিএনপি। নেতারা বলছেন, নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের পর, বিএনপি নেতৃত্বাধীন সম্ভাব্য এই জোট বিজয়ী হলে গঠিত হবে জাতীয় সরকার। সরকার পতনের লক্ষ্যে জাতীয় ঐক্য ও নির্বাচন পরবর্তী জাতীয় সরকার নিয়ে শিগগিরই বিস্তারিত পরিকল্পনা তুলে ধরার কথা বলছে বিএনপি।
বুধবার (৩০ মার্চ) নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক যৌথসভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব বলেছেন, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের পর তারা জাতীয় সরকার গঠন করতে চান।
তিনি বলেন, আমরা নির্বাচন চাই নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে। সেই নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন করার পরে যারা আন্দোলন করেছে, তাদের নিয়ে একটা জাতীয় সরকার গঠন করব। এটা আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সাহেব বলেছেন।
ফখরুল আরো বলেন, এই সরকার যে সমস্যার সৃষ্টি করেছে। একমাত্র হতে পারে যদি সত্যিকার অর্থেই একটা নিরপেক্ষ সরকার গঠিত হয় এবং তার অধীনে যদি একটা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হয়। তাহলেই শুধু দেশের চলমান সমস্যার সমাধান হতে পারে।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব আরো বলেন, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান খুব স্পষ্ট করে বলেছেন যে, আমরা একটা নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে এখন নির্বাচন চাই এবং সেই নির্বাচনের পরে আমরা সবাইকে নিয়ে একটা জাতীয় সরকার গঠন করার মধ্য দিয়ে বিরাজমান সব সমস্যার সমাধান করতে চাই।
নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কমানোর দাবিতে শনিবার (২ এপ্রিল) ঢাকায় গণঅনশনের কর্মসূচি ঘোষণা করেন বিএনপি মহাসচিব।