অধ্যাপক শামসুল হুদা লিটনঃ
কাপাসিয়ার ধাধার চরের চাষীরা শুধু ফসলই উৎপাদন করেনা উন্নত জাতের বিভিন্ন ফসলের বীজও সংগ্রহ করে থাকেন। লাল ডাটা বীজ এর মধ্যে অন্যতম।ডাটা আমাদের দেশের গ্রীষ্মকালীন সবজি হলেও ধাধার চরে সারা বছরই বিভিন্ন জাতের ডাটা চাষ হয়ে থাকে। কখনো কখনো লাল ডাটায় রক্তিম হয়ে উঠে ধাধার চরের কৃষি খামার।
ডাটায় বিশেষ করে লাল ডাটায় প্রচুর পরিমাণে এ, বি, সি, ডি এবং ক্যালসিয়াম ও লৌহ বিদ্যমান। ডাটার কান্ডের চেয়ে পাতা বেশি পুষ্টিকর। খুব কম সবজিতেই ডাটার মতো এত অধিক পরিমাণে ভিটামিন ও খনিজ লবণ থাকে। ডাটা একটি উচ্চফলনশীল সবজি। ডাটা চাষ করার জন্য শতাংশ প্রতি ১৫ গ্রাম বীজের প্রয়োজন। বিঘাপ্রতি ২০০-৩০০ গ্রাম বীজের প্রয়োজন। ডাটা বীজের দামও অনেক। সেই কারণে ধাধার চরের কৃষকরা ডাটা চাষের পাশাপাশি ডাটা ফসল ক্ষেতে বীজ সংগ্রহ ও সংরক্ষণের ব্যবস্থা করে থাকেন। ডাটা বিক্রি করা শেষ হলে কিছু ডাটা বীজের জন্য ক্ষেতেই রেখে দেন। পরিপক্বতা না আসা পর্যন্ত বীজের ডাটা কাটা হয়না। সময় মতো বীজ ডাটা কেটে, তা থেকে বীজ সংগ্রহ করে তা নিজ বাড়িতে সংরক্ষণ করা হয়। পরবর্তীতে চরের চাষীরা সংগ্রহকৃত ডাটা বীজ নিজ ক্ষেতে বপন করেন । অনেক কৃষক সবজি বীজ বিক্রি করে বাড়তি অর্থ আয় করে থাকেন।
শামসুল হুদা লিটন
সাংবাদিক, কলামিস্ট ও গবেষক।