মো.মিজানুর রহমান নাদিম,বরগুনা প্রতিনিধি : "মাছে ভাতে বাঙালী" এই শ্লোগানটি দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে।বরগুনার তালতলীতে বিভিন্ন জায়গায় খাল ও জলাশয় রয়েছে। টানা বর্ষণে খাল ও জলাশয় টইটুম্বুর হয়ে থাকে।এসব জলাশয় থেকে অবৈধ জাল দিয়ে নিধন হচ্ছে দেশীয় প্রজাতির মাছ।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলার কড়ইবাড়িয়া ইউনিয়নের হেলেঞ্চাবাড়িয়া,
বেহালা,আলিরবন্দর গ্রামের খালগুলোতে (ভেশনজাল) দিয়ে সম্পূর্ন খাল দখল করে অবৈধ ভাবে ধরা হচ্ছে দেশীয় প্রজাতির ছোটবড় সকল ধরনের মাছ।জালের সঙ্গে উঠে আসে বিভিন্ন প্রজাতির দেশীয় সুস্বাদু মাছ এরমধ্যে কৈ, শাটি, শোল, বোয়াল মাছের পোনা, পুটি, টেংরা, রুই, কাতল, সিলভার, বিগহেড, বাটা মাছ অন্যতম।
খাল ও জলাশয়ের পাশে ঘর বানিয়ে রাত-দিন এক করে জেলেরা এসব মাছ নিধন করছেন বেপরোয়া হয়ে। আবার এসব মাছ ধরতে কেউ কেউ নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল ব্যবহার করছেন অবাধে। অথচ সংশ্লিষ্টরা তাদের নাগাল পাচ্ছে না।প্রতি দুই/তিন মিঃ পরপরই এই অবৈধ জাল গুলো পেতে রাখা হয়েছে কোনভাবে মাছ ছুটে যাওয়ার উপায় নেই,এমনকি কোন মাছ প্রবেশ করারও সুযোগ নাই।
স্থানিয়রা অভিযোগ করে এ প্রতিবেদককে জানান এই অবৈধ জাল দিয়ে চিংড়ি,গুলিশা,শৌল,কৈ টাকি,কোরাল,বোয়াল,সিং,মাগুরসহ অনেক ধরনের দেশীয় মাছ তারা নিধন করছে যার কারনে এই মাছগুলো আর পাওয়া যাচ্ছেনা।এখনই এই অবৈধ জালগুলো বন্ধ না করলে অন্নান্য মাছও কালের গহবরে হারিয়ে যাবে।স্থানিয় মাদ্রাসা শিক্ষক নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তিনি জানান এই জাল দিয়ে শুধু মাছই নিধন হচ্ছে তা নয় আমাদের জমি চাষাবাদের জন্য পানি উঠানামাতে বাধার সৃস্টি হচ্ছে এ কারনে কৃষকরা সঠিকসময় জমি চাষ করতে পারছেনা এই অবৈধ জালগুলো অতি তারাতারি বন্ধ করা হোক।
এ ব্যাপারে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ শামীম রেজা জানান আমরা একাধিকবার অভিযান পরিচলনা করেছি জব্দকরেছি। এজন্য দরকার আরো জোরালো পদক্ষেপ ও উর্ধতন কর্তৃপক্ষের কঠিন নির্দেশনা এবং জেল-জরিমানা তাহলে এই অবৈধ জাল বন্ধ করা সম্ভব হবে।
সম্পাদক ও প্রকাশক: রফিকুল ইসলাম
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা-১৩১০