ওয়াহিদুল হাসান রাহি,চকরিয়াঃ
কক্সবাজারের বৃহত্তর চকরিয়া উপজেলার মাতামুহুরী নদীর বিভিন্ন পয়েন্ট ও ছড়া খাল থেকে অবৈধ ড্রেজার মেশিন বসিয়ে দিনরাত লাখ লাখ ঘনফুট বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। উত্তোলিত এসব বালু প্রশাসনের সামনে দিয়েই শত শত ডাম্পার ও ১০ চাকা বিশিষ্ট ট্রাক বোঝাই করে বিভিন্নস্থানে সরবরাহ দিচ্ছে স্ব স্ব এলাকার ক্ষমতাসীন দলের প্রভাবশালী সিন্ডেকেট।
মাতামুুহুরী নদীর দক্ষিণ পাশ থেকে রেললাইন প্রকল্পের ঠিকাদার সম্পর্ণ অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন করায় বর্তমানে ওই এলাকাটি মারাত্মক হুমকির মুখে পড়েছে।
স্থানীয় জনগণের অভিযোগ, এলাকার একজন প্রভাবশালী জনপ্রতিনিধির ছত্রছায়ায় এ অবৈধ কর্মকান্ড চললেও পরিবেশ অধিদপ্তর, জেলা ও উপজেলা প্রশাসন এবং পুলিশ এতে বাধা দিচ্ছে না। ফলে বালু উত্তোলনকারিরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।
সূত্র মতে, অবৈধ বালু উত্তোলনের কারণে গ্রামীণ অবকাঠামো ভেঙ্গে চুরমার হয়ে যাচ্ছে। ছড়া খাল ও নদীর উভয় পাশের ঘরবাড়ি গুলো ভেঙ্গে পাড়ার উপক্রম হয়েছে।
এলাকাবাসী জানান, পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের দিগরপানখালী, পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের হালকাকারা, পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের আমান্ন্যারচসহ উপজেলার খুটাখালী, ডুলাহাজারা, ফাঁসিয়াখালী, কাকারা, লক্ষ্যারচর, কৈয়ারবিল, বরইতলী, হারবাং, চিরিঙ্গা, সাহারবিল, পূর্ব ও পশ্চিম বড় ভেওলাসহ অর্ধশত পয়েন্টে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলন অব্যহত রয়েছে। বিশেষত মাতামুহুরী নদীর ব্রীজের দক্ষিণ পাশে রেললাইন নির্মাণ প্রকল্পের ঠিকাদারী প্রতিষ্টান ‘তমা গ্রুপ’ অবৈধভাবে বালি উত্তোলন করায় সরকার এক কানাকড়িও রাজস্ব পাচ্ছে না। বরং স্থানীয় প্রভাবশালী জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা ব্যক্তিগত ভাবে লাভবান হচ্ছেন।
সরেজমিন পরিদর্শন করে দেখা গেছে, উপজেলার বিভিন্নস্থানে নদী ও ছড়া খালে নিষিদ্ধ ড্রেজার মেশিন বসিয়ে দিবারাত্রি বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। ইতিপূর্বে এসব স্থানে বালু উত্তোলনের কারণে শতধিক বাড়ি নদী ও ছড়াখালে বিলীন হয়ে তলিয়ে গেছে। এছাড়াও গ্রামীণ আভ্যন্তরিন সড়কগুলো ভেঙ্গে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। সৃষ্টি হয়েছে অসংখ্য খানা-খন্দক ও গর্ত। এতে নজর দিচ্ছে না সংশ্লিষ্ট প্রশাসন।