নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
কক্সবাজার সদর উপজেলা খুরুশকুল ইউনিয়নের আলোচিত মাদক কারবারি মোস্তাক প্রকাশ লালু ১৬ হাজার ইয়াবা সহ টেকনাফ বিজিবি’র হাতে আটক।
গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়ন থেকে অটোরিক্সা যোগে ১৬ হাজার ইয়াবা সহ আসার পথে বিজিবি’র আভিযানিক টহল দল আটোরিক্সা থামিয়ে তল্লাশি করতে গেলে পেছনে বসা মোস্তাকের আচরণ সন্দেহ হয়।পরে অটোরিক্সা তল্লাশি চালিয়ে বিশেষ কায়দায় লোকানো ১৬ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করে এবং ঘটনাস্থলে মোস্তাককে আটক করে। মোস্তাক আহমেদ প্রকাশ লালু খুরুশকুল ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের কুলিয়া পাড়ার বাসিন্দা সুলতান মাঝির ছেলে।
জানা যায়, মোস্তাক অবৈধ পথে মায়ানমার ও বাংলাদেশে নানান পণ্য ট্রলার যুগে পাচার করে থাকে। গেলো কিছুদিন আগে কক্সবাজারের নাজিরারটেক এলাকায় মায়ানমারে অবৈধভাবে তেল,সার,সিমেন্ট সহ বেশ কিছু পণ্য ট্রলার ভর্তি করে মায়ানমারে পাচারের উদ্দেশ্যে রওনা দিলে পথিমধ্যে কোস্ট গার্ডের নজরে পড়ে যায় মোস্তাকের মালিকানাধীন মায়ের দোয়া নামক ট্রলারটি। এদিকে ধাওয়া খেয়ে ট্রলারটি নাজিরারটেকের পাড়ে পাথরের সাথে ধাক্কা খেয়ে অবৈধ মালামাল সহ ডুবে যায়। পরে সে উদ্ধার হলেও কোস্ট গার্ডের পক্ষ থেকে মোস্তাকের নামে কোন প্রকার আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় নি। এই বিষয়ে কক্সবাজারের দায়িত্বরত কোস্ট গার্ডের মিডিয়া সেলের সাথে কথা বললে বিষয়টি তিনি জানাচ্ছেন বলে মোটোফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয় পরে এাকধিকবার যোগাযোগ করলে কোন ধরণের সংযোগ পাওয়া যায় নি।
মোস্তাকের বিষয়ে আর একটু ভেতরে অনুসন্ধান করতে গিয়ে বের হয় চাঞ্চল্যকর তথ্য। মোস্তাক ২০১৯ সালে মাঝির ঘাট এলাকায় একটি ট্রলার ভর্তি ইয়াবা লুটের ঘটনার সাথে জড়িত। এবং সে ঘটনায় মোস্তাকের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ২ লাখ ইয়াবা সহ মোস্তাক প্রকাশ লালু ও তার আপন ছোট ভাই রমজান আলী পুতু কক্সবাজার সদর মডেল থানা পুলিশের অভিযানে আটক হয়। এই ইয়াবা লুটের ঘটনার মূলহোতা টেকপাড়ার মিজান পুলিশের সাথে বন্দুক যুদ্ধে নিহত হয়। স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায় মোস্তাক ও তার কয়েকজন সহযোগী এফ বি নাহিদ নামক ট্রলারের মালিক বেলাল বহদ্দার মিলে এই মাদককের স্বর্গরাজ্যে গড়ে তুলেছেন। খুরুশকুলের বাঁকখালীর মাঝির ঘাট এলাকা যেনো ইয়াবা খালাসের হটস্পট। তথ্য বলছে মোস্তাক মায়ানমার আসা ইয়াবা ভর্তি ট্রলার মাঝিরঘাট সহ বাঁকখালীর বিভিন্ন জায়গায় খালাস করে সে ট্রলারে ফিরতি সময় তেল,সার ও সিমেন্ট সহ নানান পণ্য অবৈধভাবে চালান দেয় মোস্তাক। মোস্তাকের সাথে খুরুশকুল ইউনিয়ন সহ কক্সবাজারের একাধিক ইয়াবা মাফিয়া জড়িত থাকার খবর পাওয়া গেছে।
আটক মোস্তাকের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে টেকনাফ থানায় মামলা রজু হয়েছে।