জাহিদুল ইসলাম পলাশ, বরিশাল জেলা প্রতিনিধি।
গত ১লা এপ্রিল ও ৬ই এপ্রিল বরিশাল জেলার কোতোয়ালি থানার চরমোনাই ইউনিয়নের বুখাই নগরে ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে মারামারির সুত্রপাত ঘটে ও এক পর্যায়ে একপক্ষের দেশীয় অস্ত্রের আঘাতে অপরপক্ষ জখম হয়। উক্ত ঘটনায় মনোয়ার হোসেন নান্নু হাওলাদার বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় ১৩ জনকে আসামী করে ফৌজদারি মামলা দায়ের করেন।।

দায়েরকৃত মামলার ১২ নং আসামী করা হয় মোঃ আকবার মুবিনকে(২৫) পিতাঃ মোঃ খলিলুর রহমান।
তবে এলাকাবাসীর দাবি উক্ত মামলায় সম্পুর্ণ নির্দোষ আকবার মুবিন।

এ বিষয়ে নিউজ ভিশনকে আকবার মুবিন জানান,ক্রিকেট খেলা নিয়ে মারামারির ব্যাপারে আমি কিছুই জানি না। যখন প্রথম মারামারির সুত্রপাত মীরা বাড়ি স্কুল মাঠে ঘটে তখন আমি ঢাকা ছিলাম। পরবর্তীতে যখন বুখাইনগর বাজারে মারামারি হয় তখনও আমি নিজের ঘরেই ছিলাম। চিৎকার চেচামেচি শুনে ঘটনাস্থলে গিয়ে আমি আমার ফুফাতো ভাই রাজা বকশীকে আহত অবস্থায় দেখে তাকে উদ্ধার করে শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করি। অথচ কোনো একটি মহল আমাকে মিথ্যা মামলায় ষড়যন্ত্র করে ফাঁসাতে চাইছে। আমি এর বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।

বুখাইনগর বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি জাহাঙ্গীর দফাদার, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইয়াসিন খোকন চৌকিদার, বুখাইনগর বাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মেহেদী হাসান জানান, আকবার মুবিনকে হয়রানি মূলক মিথ্যে মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। তারা আরও বলেন, আকবার মুবিন সমাজসেবামূলক কার্যক্রমের সাথে জড়িত। হয়তো একটি দুষ্কৃতকারী মহল তাকে ফাঁসানোর জন্য মিথ্যে মামলায় আসামি করেছে। এমনকি মারামারি শেষে আকবার মুবিন খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গেলে আহতদের চিৎকার শুনতে পান। তখনো আহতদের সাহায্যে কেউ এগিয়ে আসেনি, তাই আকবার নিজ গ্রামের আহতদের শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন।
এছাড়াও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান আকবার মুবিন মারামারি চলাকালীন ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলো না। কিন্তু আকবার তার নিজ গ্রামের আহতদের শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। হতে পারে তাকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে হয়রানি করতে মিথ্যে মামলায় ফাঁসানো হয়েছে।
আমরা এই ষড়যন্ত্র মূলক মিথ্যা মামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।

উল্লেখ্য, আকবার মুবিন মানবাধিকার কমিশন বিএম কলেজ শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং প্রথম আলো বন্ধুসভা, বরিশাল জেলা শাখার প্রচার সম্পাদক পদে থেকে, এছাড়াও বেশ কিছু সামাজিক সংগঠনের দায়িত্বশীল পদে থেকে সমাজসেবামূলক কার্যক্রম করে থাকেন।