রাকিবুল আওয়াল পাপুল, শেরপুর জেলা প্রতিনিধিঃ
শেরপুরে গত ৭ জানুয়ারী অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তোলার কোন সুযোগ নেই। কারণ এ বছর শেরপুর জেলার তিনটি আসনেই উৎসব মুখর পরিবেশে প্রতিদ্বন্ধিতাপূর্ণ নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। ভোটারদের উপস্থিতিতেই ভোট গ্রহণ হয়েছে। সরকার ও দলকে বিব্রত করতে সাবেক এমপি আতিউর রহমান আতিক আপত্তিকর মন্তব্য করে আসছেন। তিনি বিএনপি-জামায়াতের ভাষায় কথা বলে রাস্তা অবরো ও শেরপুরকে অচল করার হুমকি দিচ্ছেন। কিন্তু একজন দূর্নীতিবাজ কোনদিনই শেরপুরকে অচল করতে পারবেননা বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় সংসদের নবনির্বাচিত এমপি আলহাজ্ব ছানুয়ার হোসেন ছানু।
তিনি আজ বিকেলে শেরপুর শহরের নিউমার্কেটস্থ তার দলীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন।
এসময় শেরপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির রুমান, শেরপুর পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব গোলাম মোহাম্মদ কিবরিয়া লিটন, শেরপুর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোঃ রফিকুল ইসলামসহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
তিনি আরও বলেন, সাবেক এমপি আতিউর রহমান আতিক পাঁচবার এমপি নির্বাচিত হয়ে এলাকায় কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন করতে পারেনি, তিনি এবং তার পরিবারের সদস্যরা দূর্নীতির সাথে জড়িত হয়ে নিজের এবং দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করছেন। দলের নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন না করে উল্টো তাদেরকে হেয় ও তুচ্ছতাচ্ছিল্য করেছেন। যে কারণে নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষ এবারের নির্বাচনে ভোটের মাধ্যমে পরিবর্তন এনেছেন। একজন হুইপ হয়ে অনৈতিক কাজের সাথে জড়িয়ে পড়ায় তরুন ও নারী ভোটাররা তাকে বয়কট করেছে। প্রশাসন শেরপুরের তিনটি আসনেই সুন্দর নির্বাচন উপহার দিয়েছেন। প্রশাসন সাংবাদিক ও জনগনের কাছে আমরা কৃতজ্ঞ।
উল্লেখ্য গত ২০ জানুয়ারি শেরপুর-১ আসনের সাবেক এমপি দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নৌকার পরাজিত প্রার্থী আতিউর রহমান আতিক স্থানীয় উৎসব কমিউনিটি সেন্টারে এক কর্মী সভায় শেরপুরে নির্বাচনে প্রশাসন অনিয়ম করেছে বলে অভিযোগ তুলেন এবং এর সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে অবরোধসহ শেরপুরকে অচল করার হুমকি দেন। এর জবাবে আজ সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও নবনির্বাচিত এমপি আলহাজ্ব ছানুয়ার হোসেন ছানু।
এসময় জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির রুমান বলেন, শেরপুর জেলায় এত চমৎকার নির্বাচনকে যে বিতর্কিত করতে চায়, তিনি সরকার ও দলের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন বলে আমরা মনে করি। কাজেই তাকে দলের জেলা কমিটির সভাপতি রাখা যায়না। আমরা তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্যও অনুরোধ করছি।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সাংবাদিক দেবাশীষ ভট্টাচার্য।