নুরুল ইসলাম
পর্যটন নগরী কক্সবাজারে দূর দূরান্ত থেকে ঘুরতে আসে নানা পান্তের পর্যটক। বাসের অপেক্ষা করা নিত্য দিনের ব্যাপার। তাতে ভোগান্তি মহিলা যাত্রীদের। ভোগান্তি পোহাতে হয় বাচ্চার ব্রেস্ট ফিডিং করতে। নানা প্রতিকূলতায় জন সমুদ্রে ব্রেস্ট ফিডিং করা ছাড়া উপায় থাকে না। এ যেন নিত্য দিনের চিত্র। এ নিয়ে সচেতন মহলের কাছে সৃষ্টি হয়েছে নানা জল্পনা কল্পনা। তারা মনে করেন,এটা কক্সবাজারের কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল—প্রতিদিন হাজার হাজার যাত্রী এখান থেকে যাতায়াত করেন। ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয় বাসের জন্য। এর মধ্যে অনেক নারী আছেন যারা দুধের শিশু নিয়ে ভোগান্তিতে পড়েন। গর্ভবতী মায়েদেরও একই পরিস্থিতি সহ্য করতে হয়। গরম, ধুলোবালি আর অস্বস্তিকর পরিবেশে তাদের বিশ্রামের কোনো ব্যবস্থা নেই। অথচ এখনো এই ব্যস্ত টার্মিনালে নেই একটি ব্রেস্ট ফিডিং সেন্টার বা নারীদের জন্য বিশ্রামাগার।
এই জরুরি সমস্যা সমাধানে কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে ইতোমধ্যে একটি লিখিত আবেদন জমা দিয়েছেন স্থানীয় নাগরিক রাইয়ান কাসেম। তিনি বলেন—“আমরা কথা নয়, কাজে বিশ্বাসী। কক্সবাজারের পক্ষ হয়ে একদিন ওকালতি করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম, আজ তারই কাজ শুরু করেছি। ইনশাআল্লাহ শিগগিরই আমরা সুফল পাবো।”
এই আবেদনে বলা হয়েছে, বাস টার্মিনালে প্রতিদিন বহু নারী যাত্রী দীর্ঘ সময় অবস্থান করেন। কিন্তু সেখানে নিরাপদভাবে নবজাতককে বুকের দুধ খাওয়ানোর সুযোগ নেই। এর ফলে মায়েরা যেমন অস্বস্তিতে পড়েন, তেমনি শিশুর স্বাস্থ্যও ঝুঁকির মুখে পড়ে। যদি দ্রুত একটি ব্রেস্ট ফিডিং সেন্টার ও বিশ্রামাগার স্থাপন করা যায়, তবে এটি শুধু যাত্রীদের জন্য নয়, পথচারী ও স্থানীয় বাসিন্দাদের জন্যও বড় সহায়ক ভূমিকা রাখবে।
উক্ত আবেদনটি বিবেচনা করে উপজেলা প্রশাসন দ্রুত উদ্যোগ নেবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন রাইয়ান কাসেম। তিনি বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানান এস এম সুজা উদ্দিনকে, যিনি এই রোডম্যাপ প্রদানের মাধ্যমে উদ্যোগে সহযোগিতা করেছেন।
এ বিষয়ে কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিলুফা ইয়াছমিন চৌধুরী বলেন, বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ এটা কি করা যায় দেখা যাক।