
নুরুল ইসলাম, ব্যুরো ইনচার্জ কক্সবাজার
কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের ফকিরা বাজার এলাকায় বন বিভাগের সংরক্ষিত জায়গা দখল করে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে প্রভাবশালী তৈয়ব মলয় ও তা ভাইদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় বন বিভাগ মামলা দায়ের করেছে।
জানা যায়, গত ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ইং তারিখ সকাল ৮টা ৩০ মিনিটের দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ফুলছড়ি রেঞ্জের নাপিতখালী বিট কর্মকর্তাসহ বন বিভাগের টিম ঘটনাস্থলে অভিযান চালায়। অভিযানে দেখা যায়, সংরক্ষিত বনভূমি (আর.এস দাগ নং–৬৯, বি.এস দাগ নং–৭০) এলাকায় পাহাড় কেটে সমতল করে আরসিসি পিলার বসিয়ে স্থাপনা নির্মাণের কাজ চলছে।
অভিযানের সময় বন কর্মকর্তারা দেখতে পান, আসামি মোঃ জুনায়েদ (৪৫) পাহাড় কাটছেন এবং আলতাজ আহমদ (৪৫)সহ আরও কয়েকজন শ্রমিক রড বাঁধা ও ঢালাইয়ের কাজ করছেন। কর্মকর্তাদের উপস্থিতি টের পেয়ে শ্রমিকরা পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থল থেকে কোদাল, লোহার রড, প্লাস্টিক বস্তা, সিমেন্ট ও গুনা জব্দ করা হয়।
বন বিভাগের টিম স্থাপনা ভাঙার চেষ্টা করলে স্থানীয় ২০-৩০ জন নারী-পুরুষ লাঠিসোটা নিয়ে হামলার উদ্দেশ্যে এগিয়ে আসে। নিরাপত্তাজনিত কারণে বন কর্মকর্তারা জব্দকৃত মালামালসহ ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।
ঘটনার পর নাপিতখালী বিট কর্মকর্তা ১৯২৭ সালের বন আইন (সংশোধিত ২০০০) এর ২৬(১)(খ), ২৬(১ক)(ঙ), ও ৬৩(গ) ধারায় মামলা দায়ের করেন। উল্লেখ্য, অভিযুক্ত আলতাজ আহমদ পূর্বেও বন অপরাধ মামলায় আসামি ছিলেন (পি.ও.আর: ২৫/এনকে/৭৭/ফুল অব ২০২৪-২৫)।
প্রশাসনের মামলার পরও কাজ চালিয়ে গেলে বন বিভাগ কর্তৃক পূনরায় অভিযান পরিচালনা করলে নাঈম মেম্বার (প্রকাশ রোহিঙ্গা নাঈম) জন সম্মূখে টাকা দিয়ে কাজ করার বিষয়টি স্বীকার করেন।
স্থানীয় জনসাধারণের অভিযোগ উঠেছে মলয় তৈয়ব ও তার ভাইয়েরা পরিশেষে রাজনৈতিক নেতার প্রভাব বিস্তার করে ডিপোকে ম্যানেজ করার প্রচেষ্টা চলিয়ে যাচ্ছে। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কক্সবাজার উত্তর বন কর্মকর্তা মো মারুফ হোসেন জানান, ডিসি, পুলিশের সহায়তায় আবারও অভিযান পরিচালনা করা হবে। বনভূমি রক্ষায় কোন ছাড় দেওয়া হবেনা।
“সরকারি সংরক্ষিত বনভূমি দখল করে স্থাপনা নির্মাণকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
সম্পাদক ও প্রকাশক: রফিকুল ইসলাম
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা-১৩১০