জামালপুর প্রতিনিধিঃ
জামালপুর জেলার ইসলামপুর উপজেলার দূর্গম চরাঞ্চল নোয়ারপাড়া ও সাপধরী ইউনিয়নে যাত্রার নামে চলছে অশ্লীল নৃত্য, মাদক ব্যবসা এবং জমজমাট জুয়া খেলা।
এসবের পাশাপাশি ডাব্বু, ঘিন্নি ইত্যাদি নামে চলছে জুয়া খেলা। প্রশাসনকে মাসোহারা দিয়ে উপজেলার নোয়ারপাড়া ইউনিয়নের কাজী আব্দুল আলিম, এলাকার প্রভাবশালী নেতৃবৃন্দ ও সাপধরী ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুল হামেদ প্রমাণিক এসব চালাচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, নোয়ারপাড়া ইউনিয়নের কাজলা, কাঠমা, টগা ও সাপধরী ইউনিয়নের কালির চর এলাকায় যাত্রাপালার কারণে সারা দিনই এখানে নানা ধরনের লোকজনের আনাগোনা। সন্ধ্যার পর থেকে সারা রাত ব্যাপী চলে এসব অশ্লীল নৃত্য, মাদক ব্যবসা ও জমজমাট জুয়া খেলা। এতে হাড়গিলা উচ্চ বিদ্যালয়, কাজলা উচ্চ বিদ্যালয়, কাজলা সিনিয়র আলিম মাদরাসা, হাড়গিলা দাখিল মাদরাসা, ফয়েজবানী মহিলা দাখিল মাদরাসা, সাপধরী উচ্চ বিদ্যালয়, সাপধরী দাখিল মাদরাসাসহ বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হচ্ছে।।
এলাকাবাসী জানান, যাত্রার নামে এখানে অশ্লীল নাচ প্রদর্শন, মাদক ও জমজমাট জুয়া খেলা চলে। প্রতিদিনই সন্ধ্যার পর থেকে যাত্রা শুরু হয়ে চলে ভোর পর্যন্ত।
স্থানীয় আব্দুল ওয়াদুদ, সোনা মিয়া, শরীফুল জানান, যাত্রার কথা শুনে যাত্রা দেখতে গিয়েছিলাম সেখানে গিয়ে দেখি প্রথমে জুয়া খেলা, জুয়া খেলা শেষে অনেকেই মাদক সেবন করার পর রাত ১২টায় শুরু হয় যাত্রা। যাত্রায় নগ্ন নৃত্য প্রদর্শন করে মাদক সেবন অবস্থায় নাচা নাচি করে। এসব নগ্ন নৃত্যু দেখে অবশেষে তাড়াহুড়া করে বাড়ি ফিরে আসি। নোয়ারপাড়া ইউনিয়নের মাঝবাড়ী, কাজলা, হাড়গিলা এলাকার সুরুজ মিয়া, আমীর আলী, হাসমত মিয়া বলেন, এখানে যাত্রার নামে অশ্লীল নাচ ও জুয়া খেলা চালানো হ”েছ। গ্রামের উঠতি বয়সী তরুণেরা বাড়ির ধান-চাল, মরিচ. সরিষা, পিয়াজ বিক্রি করে জুয় খেলছে। বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসনকে জানিয়েও লাভ হয়নি, বরং প্রশাসনের ছত্র ছায়াই এসব চলছে।
নোয়ারপাড়া ইউনিয়নের যাত্রা পরিচালনাকারী কাজী আব্দুল আলীমের সাথে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এখানে সাধারণ মানুষের বিনোদনের জন্য রাতে শুধু যাত্রার আয়োজন করা হয়। তবে প্রশাসন ও প্রভাবশালী ব্যক্তিদের কিছুটা ম্যানেজ তো করতেই হয় বলে তিনি স্বীকার করেন।
সাপধরী ইউনিয়নের যাত্রা পরিচালক সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুল হামেদ প্রমাণিকের সাথে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমার এলাকায় শুধু যাত্রা হয়। কোন অশ্লীল নৃত্যু ও মাদক ব্যবসা করা হয় না।
ইসলামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজেদুর রহমানের সাথে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান এ বিষয়ে আমি কিছু জানিনা। এ বিষয়ে আমি খোজ খবর নিচ্ছি।
সম্পাদক ও প্রকাশক: রফিকুল ইসলাম
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা-১৩১০