এ.এইচ.সৌরভ,নিজস্ব প্রতিবেদক :
--------------------
আজ থেকে দশ বছর আগে কিছু স্বপ্নবাজ তরুণ স্বপ্ন দেখেছিলো সমাজের জন্য কিছু করার।মানবসেবার প্রচন্ড তাগিদ থেকে প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছিলো "আশার আলো পাঠশালা"।সেদিন থেকে শুরু হয়ে যায়,ঝড়ে পড়া শিশুদের খুঁজে বের করে পুনরায় স্বপ্ন দেখানোর অব্যর্থ প্রচেষ্টা।এছাড়াও বাল্যবিবাহ সহ নানা সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে সাফল্যের সাথে লড়াই করে চলতে শুরু করে নুতুন এ সংগঠনটি!এমতাবস্থায়,কুড়িগ্রাম জেলার প্রথম আলো প্রতিনিধি শাফি " আশার আলো পাঠশালা" কে নিয়ে আসেন লাইম লাইটে। ব্যাপক সাড়া জাগে ঘরে-বাইরে। আর্থিক সাহায্যের জন্য হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন ঢাকা গ্লাডিয়ার্স কর্ণধার সহ ব্যক্তিগত ও প্রাতিষ্ঠানিক ব্যক্তিবর্গ। কিন্তু দূর্ভাগ্য হলেও সত্যি,অর্থ ই অনর্থের মুল। প্রবাদটি কমবেশি সবার জানা। আশার আলো পাঠশালার প্রতিষ্ঠাতা একজন সদস্য এই অর্থের লোভটাই সামলাতে পারেন নি!শুরু হয় অশান্তি। ধীরে ধীরে আশোর আলো প্রতিষ্টানকে নিজের মত করে অন্য সদস্যদের কোন ধরণের গুরুত্ব না দিয়ে বা কোন ধরণের হিসাব না দিয়ে একক সিদ্ধান্তে চালাতে থাকে। সাধারণ অন্যান্য সদস্যরা এ বিষয়ে তার কাছ থেকে জানতে চাইলে নিজেকে অনেক হাই প্রপাইল ব্যক্তি এবং দেশের নামী দামী নেতাদের সাথে সম্পর্ক আছে এই বলে অন্যান্য সদস্যদের হুমকি দিয়ে ধামা চাপা দিয়ে এককভাবে পুরো প্রতিষ্টানকে করায়ত্ব করার অভিযোগ করেছে সাধারণ সদস্যরা । ভোক্তভোগী সাধারণ সদস্যরা এ বিষয়ে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করে। অনেকে হতাশায় আশা ছেড়ে দিয়ে সামাজিক কাজ কর্ম থেকে নিজেকে গুটিযে নিয়েছে। সবাই আশা করেছিল এই‘ আশার আলো” দিয়েই সমাজের কালো অন্ধকার দুর করবে, কিন্তু তারা কি জানতো ? আশার আলোর উপর শকুনের থাবা পড়ে এত উদীয়মান সমাজসেবীদের স্বপ্ন গুড়েবালি হবে!!
প্রত্যাশিত আশার আলোর অন্তরালে এখন নিরাশার কালো অন্ধকার ।
সম্পাদক ও প্রকাশক: রফিকুল ইসলাম
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা-১৩১০