নুরুল ইসলাম
কক্সবাজার সৈকত পাড়ায় অবৈধভাবে গড়ে উঠা স্থাপনায় বারবার উচ্ছেদ অভিযান হলেও কক্সবাজার মরিয়ম রিসোর্টের পাশে অবৈধভাবে গড়ে উঠা লিমনের বহতল ভবন অদৃশ্য কারণে এখনো বহাল তবিয়তে রেখে রাতারাতি কাজ চালিয়ে যাচ্ছে লিমন। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সৈকত পাড়ায় গড়ে উঠা অবৈধ স্থাপনাগুলোতে কউকের অভিযানে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হলেও অদৃশ্য শক্তিতে বহাল তবিয়তে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে ভবনের মালিক লিমন। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় দিনের বেলায় খুটিনাটি কাজ করলেও রাতের বেলায় বিরামহীন কাজ চালিয়ে রেড নোটিশ পাওয়া লিমনের ভবনটি। তারা প্রশ্ন রাখেন কোন অদৃশ্য শক্তিতে লিমন রেড নোটিশ পাওয়ার পরো কাজ চালাতে পারে? ভবটিতে রেড নোটিশ দেওয়ার আগে কাজের গতি ধীর হলেও নোটিশ পাওয়ার পর কউককে ম্যানেজের মাধ্যমে কাজের গতি বৃদ্ধি করে লোকজন ঢুকিয়ে দেই লিমন। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, লিমন একজন এনজিও কর্মি হওয়ায় টাকায় সব ম্যানেজ করে এই অবৈধ ভবনের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, লিমন ৫ লক্ষ টাকায় কউককে ম্যানেজ করে কাজ করে। এই ভবন কউক ভাংগবে না। বিভিন্ন অযুহাত দেখিয়ে ভবনটি রেখে দিবে। তারা আরও জানান, তা না হলে সৈকত পাড়ায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হলেও কেন রেড নোটিশ দেওয়ার পরও ভবনটি অক্ষত রয়ে যায়? কেন অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে না।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে লিমন প্রতিবেদককে দেখা করে নিউজ না করার অনুরোধ করেন। প্রতিবেদক তাতে অস্মতি জানালে তিনি বলেন, কউক এই ভবনে কয়েকবার নোটিশ দিয়েছে আমি তাদের সাথে যোগাযোগ করে ম্যানেজ করতে সক্ষম হয় এবং বিল্ডিং না ভাংগার ব্যবস্থা করি। গত জুন মাসে এ ভবনটি কউকের ভাংগার নোটিশ পাওয়ার পর কউককে ম্যানেজ করে ভবনটি অক্ষত রাখতে সক্ষম হয়। তিনি বলেন, কউকের সাথে ভবনটি না ভাংগার জন্য তদবির করে তারা না ভাংগার বিষয়টি আস্বস্ত করেন এবং আমি যতদিন পর্যন্ত ভাংবনা ততদিন ভবনটি রেখে দেওয়ার ব্যাপারে নিশ্চিত করেন।
এভাবে যদি একটি অবৈধ ভবন অভিযান পরিচালনা না করে রেখে দেই কত দিন পর নিজে নিজের ভবন ভাংবে প্রশ্ন সাধারণ মানুষের।
সম্পাদক ও প্রকাশক: রফিকুল ইসলাম
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা-১৩১০