বিনোদন ডেস্কঃ
রাঙ্গামাটি সাংস্কৃতিক অঙ্গনের প্রিয়নাম প্রিয়দর্শিনী পম্পি বড়ুয়া। ১৬ই অক্টোবর মা’য়ের কোল আলোকিত করে সবাইকে আনন্দ দিতে জন্ম নেন সবার হাসিখুশি পম্পি বড়ুয়া। যার নামের অর্থই আনন্দ।
রাঙ্গামাটি সরকারি কলেজ থেকে ম্যানেজমেন্টের উপর স্নাতক করে একই কলেজে স্নাতকোত্তর করছেন।প্রাতিষ্ঠানিক গান শেখা না হলেও সংস্কৃতির প্রথম পাঠ শুরু হয় পরিবার থেকে মায়ের মুখে মুখে। এরপর শুরু হয় নিজ উদ্যামে বাংলার টিকি চিহ্ন সংস্কৃতির পথে অবিরাম পথ চলা। নাচ, গান, আবৃত্তি, স্কাউটের পাশাপাশি বর্তমানে রাঙ্গামাটি বেতারে উপস্থাপনা করছেন।
রাঙ্গামাটির লাল পাহাড়ের এই সবুজ তারা প্রত্যেকটি সরকারি বেসরকারি সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে নিজের উপস্থিতি নিশ্চিত করেন আপন কর্ম প্রতিভায়। এগিয়ে যাক পম্পি বড়ুয়া, এগিয়ে যাক বাংলা ও বাঙ্গালীর সংস্কৃতি। পুরুষ্কারের ঝুলিতে আছে নাচ থেকে বিভাগীয় পর্যায়ে একবার ও অভিনয়ে দুইবার শ্রেষ্ঠ পুরুষ্কারের জাতীয় স্বীকৃতি। তাছাড়া নাচ, গান, আবৃত্তি, স্কাউটের সফল প্রশিক্ষণের একাডেমিক সনদ।
পম্পি বড়ুয়া সম্পর্কে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন রাঙ্গামাটি জেলা সংসদের সভাপতি অভিজিৎ বড়ুয়া বলেন, পম্পি বড়ুয়া একসময় ছাত্র ইউনিয়নের সাংস্কৃতিক ইউনিটে সক্রিয় ছিলেন। সংস্কৃতি তার আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে আছে। পুরো পরিবার সংস্কৃতির সাথে কোনো না কোনোভাবে জড়িত। পম্পি বড়ুয়া তার জীবনে যুদ্ধে জেতা একজন সাহসী নারীর গল্প আমরা তাকে নিয়ে গর্ববোধ করি। মা ঝর্ণা বড়ুয়া ও পম্পি বড়ুয়া মিলে পম এ্যান্ড মম কালেকশন নামে সুনামের সাথে একটি অনলাইন শপ করে আসছে।
পম্পির বড়ুয়ার সাথে কথা বলে জানা যায়, তিনি যেকোনো প্রাকৃতিক জাতীয় দূর্যোগে ঝাপিয়ে পড়ে মানবতার সেবায় নিজেকে সপে দেন। কারো বাড়িতে দোকানে আগুন লাগলে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের সাথে সাধ্যমতো আগুন নেবানোর কাজ করেন।রাঙ্গামাটিতে অতি ভারিবর্ষণে পাহাড় ধস হলে উদ্ধার অভিযানে যান এবং তাতেই তিনি সুন্দর মানবীয় গুণাবলির উন্মেষ ঘটান। কখনো নারী অধিকার নিয়ে রাজ পথে নেমে প্রতিবাদি কবিতা আবৃত্তি করেন।জয়তু পম্পি বড়ুয়া জন্মদিনে আপনার প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসা।