-----+
হুমায়রা কবির
শরতের শিশিরে সিক্ত শুভ্র শিউলি ফোটা রাতে মন কি আর ঘরে থাকে, গুনগুনিয়ে গেয়ে উঠে 'বন্দে মায়া লাগাইছে পিরিতি শিখাইছে দিওয়ানা বানাইছে, কি যাদু করিয়া বন্দে মায়া লাগাইছে।'
এমন মোহনীয় অপরাহ্ন, শারদ রাত শুভ্র কাশবনের স্পর্শ সাংস্কৃতিক চর্চাকে মোহনীয় করে তুলে। আর স্থানটি যদি হয় কাশবনের শুভ্রতা ঘেরা কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে তাহলে তো আর কথাই নেই।
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক অঙ্গনে নতুন সংযোজন 'বিষ্যুদবারের গান।' এবার আর গুনগুনিয়ে গান করার পালা শেষ, এই আয়োজন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন চারুকলা বিভাগের নয় বরং কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাত সদস্যের টিম বৃত্ত কুবি'র। একের পর এক নতুন প্রজেক্টের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক মননে স্বাক্ষর রেখে চলেছে টিম বৃত্ত কুবি।
তবে বিশ্ববিদ্যালয়ে সংস্কৃতিমনাদের নিয়ে গানের আসর জমাতে এবং সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে শিক্ষার্থীদের প্রাতিষ্ঠানিক একঘেয়েমি দূর করতেই মূলত 'বিষ্যুদবারের গান।' বৃত্ত কুবির হেড অভ ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট মাহফুজ রাব্বি জানান, আমাদের এই প্রজেক্ট 'বিষ্যুদবারের গান' আয়োজনে থাকবে বৃত্ত কুবি এবং পরিবেশনায় থাকবে প্রতিবর্তন, প্লাটফর্ম, সহ ক্যাম্পাসের অন্যান্য শিল্পীরা।
তিনি আরও জানান বৃহস্পতিবার শব্দের আঞ্চলিক রূপ হচ্ছে 'বিষ্যুদবার'। প্রাতিষ্ঠানিক জীবনের গুরুগম্ভীর ভাব কাটিয়ে ওঠার জন্য এরকম আঞ্চলিক উচ্চারণে নাম দেয়া হয়েছে। তবে এটা সম্পূর্ণ নির্ভর করবে প্রোগ্রামের বাজেটের উপর।
'বিষ্যুদবারের গান' এর প্রধান আকর্ষণ এখন পর্যন্ত লালনগীতি 'সোনা বন্দে আমার পাগল করিলো', 'লোকে বলে ও বলে রে ঘর বাড়ি ভালা না আমার', 'আমি ফুল বন্ধু ফুলের ভ্রমরা, সখী গো'। তবে ঋতু পরিবর্তনের সাথে সাথে আসবে গানের পরিবর্তন, হতে পারে রবীন্দ্রনাথের 'শিউলে ফুলের মালা দোলে, শারদ রাতের বুকে ওই' কিংবা বেস বাবা সুমনের 'আমি সারারাত শিশিরে ভিজেছি।'
বৃত্ত কুবি কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র গ্রাফিতি অঙ্কনের সংগঠন। ধুলো ময়লা জমা দেয়ালগুলোতে রঙ তুলির আঁচড়ে প্রাণ ফিরিয়ে দেওয়াই এই টিমের নেশা। রঙ তুলির আঁচড়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি দেওয়াল এখন কথা বলে।
সম্পাদক ও প্রকাশক: রফিকুল ইসলাম
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা-১৩১০