নিজস্ব প্রতিবেদক
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) বাণিজ্য অনুষদে ব্যাংকিং এবং ইনস্যুরেন্স বিভাগের অধীনে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে বাংলাদেশের উপকূলীয় পর্যটনে আর্থিক ঝুঁকি শীর্ষক সেমিনারের অনুষ্ঠিত হয়েছে। গবেষণার বিষয় ‘ জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে বাংলাদেশের উপকূলীয় পর্যটনে আর্থিক ঝুঁকি ' গবেষণার ফলাফল ও প্রশ্ন-উত্তর সন্তোষজনক ভাবে উপস্থাপিত হয়েছে বলে উপস্থিত শিক্ষক ও গবেষকরা মনে করেন।
মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১.৩০ টায় বাণিজ্য অনুষদের সেমিনারে ট্যুরিজম এন্ড হসপিটালিটি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সামশাদ নওরীণ তার পিএইচডির ২য় সেমিনারে গবেষণার ফলাফল উপস্থাপন করেন।
গবেষক সামশাদ নওরীণ বলেন, 'বাংলাদেশের পর্যটন প্রকৃতি নির্ভর সেজন্য পর্যটনে জলবায়ু একটি প্রভাবশালী নিয়ামক। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে তাপমাত্রা বেড়ে যাচ্ছে যার ফলে তাপমাত্রা সহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা দিচ্ছে ফলে পর্যটনে আর্থিক ঝুঁকি হচ্ছে। পর্যটনে বিনিয়োগকারীরা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। পর্যটন আর্থিক লাভজনক সেক্টর সেজন্য আমাদের দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা করতে হবে।
গবেষণা কাজে তিনি প্রাথামিক ও দ্বিতীয় পর্যায়ের তথ্য –উপাত্ত সংগ্রহ করেন। দ্বিতীয় পর্যায়ের তথ্য ও উপাত্ত জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক , সরকারী ব্যাংক, বে- সরকারী ব্যাংক এবং বিনিয়োগকারী বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে আর্থিক তথ্য –উপাত্ত সংগ্রহ করেন।
পর্যটনের তথ্যের জন্য বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন, জলবায়ুর তথ্যের জন্য আইপিসিসি থেকে সংগ্রহ করেন। প্রাথামিক পর্যায়ের তথ্য –উপাত্ত সংগ্রহ করার জন্য তিনি সরাসরি কক্সবাজার, পটুয়াখালী ও সাতক্ষীরা জেলায় গিয়ে পর্যটন ও জলবায়ু সংশ্লিষ্ট সকলের সাক্ষাৎকার নিয়েছেন।
তিনি মনে করেন, তিনটি জেলার মধ্যে কক্সবাজার জেলা বেশি ঝুকিপুর্ন। অন্যদিকে পটুয়াখালী ও সাতক্ষীরা জেলা প্রায় ঝুকিহীন। এজন্য পটুয়াখালী ও সাতক্ষীরা এই দুই জেলায় বেশি বেশি বিনিয়োগ করা দরকার। বিনিয়োগকারীদের আর্থিক সহযোগিতা দেওয়া হয় তাহলে তারা ঝুঁকি নিতে পারবে। পরিবেশ বান্ধব এবং ঝুকিমুক্ত পর্যটনের জন্য দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা করা দরকার যেখানে সরকারী ও বেসরকারি সংশ্লিষ্ট সংস্থার সহযোগিতা প্রয়োজন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাংকিং এবং ইনস্যুরেন্স বিভাগের অধ্যাপক ও বাংলাদেশ সিকিরিটি এন্ড একচেঞ্জ কমিশনের চেয়ারম্যান এবং গবেষণার তত্বাবধায়ক অধ্যাপক শিবলী রুবায়াতুল ইসলাম বলেন, বৈশ্বিক উষ্ণতা একুশ শতকে একটি বড় চ্যালেঞ্জ, পাশপাশি বাংলাদেশের পর্যটন শিল্প একটি অগ্রগণ্য সেক্টর যা গত দুইদশক ধরে জাতীয় আয়ে অনেক অবদান রখেছে। জলবায়ু পরিবর্তন পর্যটন শিল্পের অগ্রগতির জন্য অনেক বড় বাঁধা, প্রতিবছর দেশের আর্থিক অনেক ক্ষতি সাধন হচ্ছে যা এই গবেষায় উপস্থাপিত হয়েছে। এধরণের মৌলিক ও তথ্যবহুল গবেষণা বেশি বেশি হলে বাংলাদের পর্যটণ শিল্প, আর্থিক প্রতিষ্ঠান তথা দেশের অর্থনীতি আরো সমৃদ্ধ হবে।
সেমিনারের সভাপতির বক্তব্যে ব্যাংকিং এবং ইনস্যুরেন্স বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. হাসিনা শেখ বলেন, এ ধরণের মৌলিক গবেষণা বিশ্ববিদ্যালয় তথা দেশের উচ্চশিক্ষাকে সমৃদ্ধ করবে।
এছাড়া সেমিনারে বিশ্ববিদ্যালয় ও অনুষদের অনেক প্রথিতযশা শিক্ষক ও গবেষক উপস্থিত ছিলেন।
সম্পাদক ও প্রকাশক: রফিকুল ইসলাম
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা-১৩১০