এম.এ ওয়াহিদ :
ত্বোয়াসীন আরাফাত ত্বোয়াহা , একজন তরুণ ডিজাইনার ও ক্যালিগ্রাফার। ক্যানভাসে যার কাজ দেখে চোখ ফেরানো কঠিন। মনন ও বোধের অপূর্ব সমন্বয় ঘটান রংতুলিতে, হোক তা ভার্চুয়াল কিংবা রিয়্যাল।
সম্প্রতি তিনি ” Doha Youth Innovation Award (Visual Arts Third Category – Arabic Hand Writing)” -এ অর্জন করেছেন তৃতীয় স্থান। উক্ত আসরে সকল প্রকার ক্যাটাগরি মিলিয়ে বিজয়ীদের মধ্যে একমাত্র বাংলাদেশী শিল্পী তিনি।
সমকালীন বিশ্বের মাঝে নিজ দেশের নাম উজ্জ্বল করলেন চট্টগ্রামের এই সৃজনশীল শিল্পী। তিনি শব্দমেট্রো’র শিল্প টিমের একজন এক্সিকিউটিভ। পড়াশুনার পাশাপাশি চালিয়ে যাচ্ছেন ক্যালিগ্রাফী পেইন্টিং।
তাঁর বাড়ি চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায়। দেশের স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান বায়তুশ শরফ আদর্শ কামিল ( অনার্স-মাস্টার্স ) মাদরাসা থেকে কৃতিত্বের সাথে ‘দাখিল’ পাশ করে বর্তমানে আলিমে অধ্যয়নরত।
তাঁর চোখধাঁধানো এমন সব ক্যালিগ্রাফির শুরুটা জানতে চাইলে তিনি নিউজ ভিশনকে জানান , ” ক্যালেন্ডারে ক্যালিগ্রাফি দেখে ৭ম শ্রেণি থেকে ক্যালিগ্রাফি নিয়ে চিন্তা ভাবনা শুরু । তখন থেকে এখনো পর্যন্ত চর্চা চালিয়ে যাচ্ছি । বিখ্যাত অনেক ক্যালিগ্রাফারের কাজই ভালো লাগে তবে তিউনিসীয় ক্যালিগ্রাফিতি শিল্পী এল-সাইদের কাজ ও দর্শন আমাকে বেশি অনুপ্রাণিত করে “।
শুরুটা শখের বশে হলেও এখন এটি পেশা, যা জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে গেছে বলে জানান এই উদীয়মান শিল্পী । এই চেষ্টা-সাধনার পথে যারা তাঁর পাশে থেকে সাহস জুগিয়েছেন তাদের সবার কাছে তিনি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন ।
অবশেষে প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হওয়ার অনুভূতি জানতে চাইলে তিনি বলেন, ” আলহামদুলিল্লাহ… কম্পিটিশনে অংশগ্রহণ করতে প্রচুর ঘাম ঝরাতে হয়েছিল । আর কেউ যখন তার কষ্টের ফল সরাসরি দেখতে পায় তখন তা দ্বিগুণ প্রশান্তি নিয়ে আসে । আর এত এত মানুষের শুভেচ্ছা ভালোবাসা পাবো কল্পনা করিনি , সকলকে ভালোবাসা জানাই । আর সবার কাছে দোয়া চাই যেন ভবিষ্যতে আরো বহুদূর যেতে পারি “।