মোঃ আবু সঈদ, স্টাফ রিপোর্টারঃ
সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার নবনিযুক্ত উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সুলতানা জেরিন দায়িত্ব গ্রহণের প্রথম দিনেই জনকল্যাণমূলক ও ব্যতিক্রমী ঘোষণার মাধ্যমে সাধারণ মানুষের হৃদয় জয় করেছেন।
২২ মে ২০২৫ তারিখে দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানান, সদর উপজেলার যেকোনো রাস্তাঘাট, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কিংবা অবকাঠামোগত সমস্যা সম্পর্কে সরাসরি এলাকাবাসীর মতামত জানতে চান এবং সেগুলোর সমাধানে বাস্তবধর্মী পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।
তার এই স্বচ্ছ, দায়বদ্ধ ও জনমুখী উদ্যোগে উপজেলাব্যাপী প্রশংসার ঝড় বইছে। ফেসবুকসহ বিভিন্ন মাধ্যমে অনেকেই নিজ নিজ এলাকার সমস্যার কথা তুলে ধরছেন।
একজন এলাকাবাসী জামিল আহমদ মন্তব্যে লেখেন, “আসসালামু আলাইকুম ইউএনও স্যার। আপনার এই ব্যতিক্রমী চিন্তা আমাদের নতুন আশার আলো দেখাচ্ছে। ইনশা আল্লাহ, আপনার নেতৃত্বে সদর উপজেলা মডেল উপজেলায় রূপ নেবে।”
আরেকজন ফয়সাল লেখেন, “আপনার এই মনমানসিকতা সত্যিই সুনামগঞ্জকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। আমরা আশাবাদী—আপনার নেতৃত্বে প্রশাসন আরও জনবান্ধব হবে।”
জনগণের এমন ইতিবাচক প্রতিক্রিয়ার পাশাপাশি অনেকেই দীর্ঘদিনের কিছু সমস্যাও সামনে আনেন। তারা জানান, সদর উপজেলার বহু গ্রামীণ এলাকাতেই এখনও কাঁচা ও ভাঙাচোরা রাস্তা রয়েছে। বর্ষাকালে এসব রাস্তায় চলাচল একপ্রকার দুঃসাধ্য হয়ে পড়ে।
এছাড়া বহু জায়গায় নেই প্রয়োজনীয় সেতু বা কালভার্ট, যা যোগাযোগ ব্যবস্থাকে আরও দুর্বল করে তুলেছে। অন্যদিকে, স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসাগুলোর অনেকেই চলছে জরাজীর্ণ টিনশেডে, নেই পর্যাপ্ত শ্রেণিকক্ষ, খেলার মাঠ কিংবা সীমানা প্রাচীর।
সুলতানা জেরিনের এই সদিচ্ছা ও জনসেবামূলক মনোভাব ইতোমধ্যে সাধারণ মানুষের আস্থার প্রতীক হয়ে উঠেছে। সচেতন নাগরিকরা বলছেন, “এই দায়িত্ববান উদ্যোগ আমাদের সাহস জোগায়। আমরা চাই, ইউএনও স্যারের নেতৃত্বে দ্রুত এসব সমস্যার সমাধানে বাস্তবায়ন কার্যক্রম শুরু হোক।”
সরকারের ৩৫তম বিসিএস ব্যাচের কর্মকর্তা সুলতানা জেরিনকে নিয়ে এলাকাবাসীর প্রত্যাশা অনেক। তারা আশাবাদী—তার নেতৃত্বেই সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা উন্নয়নের এক নতুন দিগন্তে পৌঁছাবে এবং পরিণত হবে একটি আধুনিক, প্রগতিশীল ও মডেল উপজেলায়।